Breaking news: অমিত শাহের নির্দেশে এবার ‘দুয়ারে বিজেপি’ বাংলায়

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: সামনে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন, এর মাঝেই চলছে রাজ্য রাজনীতি গরম বাংলা। প্রচুর সংখ্যায় মানুষকে জনসভায় হাজির না করে প্রচুর সংখ্যক ভোটারের দুয়ারে যেতে হবে নেতা-কর্মীদের। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দিনভর কর্মসূচির শেষে শহরের এক হোটেলে গভীর রাত পর্যন্ত রাজ্য নেতাদের নিয়ে বৈঠকে অমিত শাহ এমনই নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। অমিত শাহের নির্দেশে এবার ‘দুয়ারে বিজেপি’ বাংলায় এমনই ইঙ্গিত অমিত শাহের।

    প্রতিবারই বাংলায় এসে বা দিল্লিতে রাজ্যের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে অমিত পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করে দেন। রাজ্য বিজেপি নেতাদের মধ্যে যা ‘অমিতভাইয়ের হোম টাস্ক’ বলে পরিচিত। একই সঙ্গে আগের ‘হোম টাস্ক’ ঠিক মতো হয়েছে কি না, সে বিষয়েও বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে থাকেন অমিত। বৃহস্পতিবারও তেমনই করেছেন। তা জানার পর শুক্রবার সকাল থেকেই নতুন করে কর্মসূচি সাজানোর পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য বৈঠকের মতোই প্রথমে অমিত আগের ‘হোম টাস্ক’ সম্পর্কে খোঁজ নেন। কৃষক সুরক্ষা অভিযান, রথযাত্রা, জে পি নড্ডার সফরের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে কোথায় কেমন কাজ হয়েছে এবং চলছে তা শোনেন। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার কোচবিহার এবং ঠাকুরনগরের সভা ‘ঠিকঠাক’ হওয়ার জন্য রাজ্যনেতৃত্বের প্রশংসাও করেন। তার পরেই বলে দেন, অতঃপর কী করতে হবে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ যাত্রায় মূলত তিনটি নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ।

    রথযাত্রা কর্মসূচিতে বেশি বেশি জায়গায় ছোট ছোট সমাবেশ করতে হবে। আরও বেশি করে শহর বা গ্রামের ভিতরে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ নিয়ে ঢুকতে হবে। মাঝে মাঝেই রথ থামিয়ে ওই ছোট ছোট সভা করতে হবে।ভোটারদের দরজায় দরজায় পৌঁছতে হবে। মানুষকে সমাবেশে নিয়ে আসার পরিবর্তে মানুষের আরও কাছে গিয়ে ছোট ছোট সভা করতে হবে। অমিতের বক্তব্য ছিল, একটি বড় সভার আয়োজনের জন্য যে পরিমাণ প্রস্তুতি নিতে হয়, সেই একই সময় ও প্রস্তুতিতে অনেকগুলি ছোট সভা করা সম্ভব। তা অনেক বেশি কার্যকরও হবে। শুধু রাজ্যনেতাদের নিয়ে কর্মসূচি করলে চলবে না। বুথ স্তরের কর্মীদেরও রথযাত্রা কর্মসূচিতে কাজে লাগাতে হবে। তাঁদের উপরেও দায়িত্ব দিতে হবে। দলে যাঁরা নতুন এসেছেন, তাঁদেরও নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিতে হবে। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীকে সামিল করতে হবে এই কর্মসূচিতে।

    অমিতের ‘দুয়ারে বিজেপি’ নির্দেশ প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতি দিলীপ অবশ্য বলছেন, ‘‘ও সব আপনাদের ভাষা। বলতে চাইলে বলুন। তবে বিজেপি মানুষের দুয়ারেই আছে। অমিত’জি আরও বেশি করে মানুষের কাছে যেতে বলেছেন এটা ঠিক। কিন্তু তার আগে থেকেই রাজ্য বিজেপি ‘গৃহসম্পর্ক অভিযান’ কিংবা ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ কর্মসূচি নিয়ে মানুষের দুয়ারে গিয়েছে। খোদ সর্বভারতীয় সভাপতি কৃষকের দুয়ারে গিয়ে মুষ্টিভিক্ষা করেছেন, তার পরে আমরা সকলেও সেটাই করেছি।