|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: আব্বাস সিদ্দিকিকে ছাড়া হবে তা চূড়ান্তভাবে জানানোর কথা ছিল বাম এবং কংগ্রেসের। এদিন দীর্ঘ প্রায় দু’ ঘণ্টা ধরে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সিপিএম সদর দপ্তরে বৈঠক করলেন সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। ডাকা হল না আব্বাসকে। জানানো হল না কত আসন ছাড়া হবে। তাই আপাতত জোট হচ্ছে না ধরে নিয়ে একা চলার পথে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।
রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ মুজাফফর আহমেদ ভবনে পৌঁছে যান অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, আব্দুল মান্নান। সিপিএম-এর তরফে ছিলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র। আগে থেকেই এই বৈঠকে শরিকদের রাখা হবে না ঠিক হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ১৯৩টি আসন ভাগ হয়ে গিয়েছিল। বাকি ১০১টি আসনের জন্যই এদিনের বৈঠক রাখা হয়। শরিকদের মধ্যে আসন ভাগ করে দেওয়ার পর এবং কংগ্রেসের দাবি মেনে আসন ছাড়ার পর আব্বাসকে দেওয়ার মতো আসন থাকছে না।
সূত্রে এমনটাই খবর, একথা জানার পর, ক্ষোভে ফেটে পড়েন ফুরফুরার পিরজাদা। আজকাল. ইন-কে ফোনে তিনি বলেন, আমরা একা লড়ব। যেখানে যেখানে প্রার্থী দেব সেখানে ২৫, ৩০ বা ৫০ হাজার ভোট কাটব। ওরা যখন বন্ধুত্বের হাত বাড়াল না, আমরা আমাদের মতোই লড়বো। তাতে যা হয় হবে। বাম কংগ্রেস আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হলেই আব্বাসের সঙ্গে কথা বলা হবে।
আব্বাস সিদ্দিকির হিসেব, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, নদিয়া, মালদহ মুর্শিদাবাদে তাদের সংগঠন আছে। তাই এই সব জায়গায় আইএসএফ প্রার্থী দিলে বাম কংগ্রেসের লড়াই সহজ হবে না। যদিও কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, আব্বাসের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা আছে এখনও।