|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট রিহানা গ্রেটার, কৃষক আন্দোলন নিয়ে ট্যুইটের পর গেরুয়া শিবিরের চাপে পড়েই কি ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার ডাক দিয়েছিলেন লতা, শচীনরা এই বিষয়েই এবার তদন্তে নামল মহারাষ্ট্র সরকার। মার্কিন পপস্টার রিহানা এবং সুইডিশ পরিবেশবিদ গ্রেটা থুনবার্গ ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে কিছুদিন আগেই টুইটারে সরব হন। ভারতের নিজস্ব ব্যাপারে বিদেশিদের অনধিকার চর্চা করাকে একযোগে ভালো চোখে দেখেননি ভারতীয় সেলিব্রেটিরা। সমালোচনায় সরব হন লতা মঙ্গেশকার, শচীন তেন্ডুলকর, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগন, বিরাট কোহলি, সাইনা নেহওয়াল সহ একাধিক ভারতীয় তারকা। আন্তর্জাতিক ময়দানের এই আওয়াজ তোলাকে ‘অনধিকার চর্চা’ হিসেবেই দেখছেন মোদী সরকারের নেতা-মন্ত্রীরাও। প্রত্যেকের মুখেই একসুর- ভারত-বিরোধী মিথ্যা কোনও প্রোপাগান্ডার ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয়। একত্রিত হয়ে এই বিদেশি অপপ্রচার রুখতে হবে।
ভারতীয় জনজীবনে তারকাদের প্রভাব বিস্তর। আর তাঁদের মুখে এমন ‘কেন্দ্র-তোষণনীতি’ শুনে ক্ষান্ত থাকেনি আমজনতা থেকে বিরোধী শিবিরগুলি। ভারতীয় তারকাদের এই বিপুল দেশপ্রেমের পিছনে কি বিজেপির হাত রয়েছে? সেই প্রশ্ন খুঁজতে এবার ময়দানে নামছে মহারাষ্ট্র সরকার। উদ্ধব সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারকাদের টুইট নিয়ে এবার তদন্তে নামা হবে। তাঁর কথায়, বিজেপি সরকারের চাপেই কি কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে টুইট করতে বাধ্য হয়েছেন তারকারা? তাঁদের উপর কি কোনওরকম চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল ? সেই বিষয়গুলিই এবার খতিয়ে দেখবে মহারাষ্ট্র সরকার।
একই সঙ্গে ভারতীয় তারকাদের এই টুইটগুলি থেকে বেশকিছু পয়েন্ট বেছে নেওয়া হয়েছে। যেমন অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর ও বিরাট কোহলির টুইটে ‘Amicable’ শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। সুনিল শেট্টি তাঁর টুইটে বিজেপি নেতা হিতেশ জৈনকে ট্যাগ করেছেন। অক্ষয় ও সাইনা নেহওয়াল মোদী সরকারকে সমর্থনে হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন। উপরন্তু প্রত্যেকের টুইটেই #IndiaAgainstPropaganda ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়া তারকাদের টুইটের যে সময় দেখাচ্ছে। তাতে পরিষ্কার যে মোদী সরকারের অঙ্গুলি হেলনেই তাঁরা এই টুইট করতে বাধ্য হয়েছেন। এবার শুরু হতে চলেছে তদন্ত।