|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও মিলবে করোনা ভ্যাকসিন ৷ তবে বেসরকারি হাসপাতালে কবে থেকে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি স্বাস্থ্য দফতর৷ বুধবার ভ্যাকসিন নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকে করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷ সূত্রের খবর ২৪টি বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধির সঙ্গে ওই বৈঠক হয়েছে৷ বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও যাতে করোনা টিকা পাওয়া যায়,তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। ওই স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং সচিব স্তরের কর্তারা ছিলেন৷মঙ্গলবার রাজ্যে এসে পৌঁছেছে করোনার ভ্যাকসিন৷ আগামী শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ৷ কোভিশিল্ডের ১০ লক্ষ ডোজ রাজ্যে এসে পৌঁছেছে৷ প্রথম পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স-সহ সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী এমনকি চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদেরও টিকাকরণ হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে পুলিশকর্মীদের এবং তৃতীয় পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি রাজ্যের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির চিকিৎসক সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীর টিকাকরণের বন্দোবস্ত রাজ্য সরকারের তরফেই করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷রাজ্যে দুটি জায়গায় ভ্যাকসিন স্টোর করা হয়েছে৷ একটি বাগবাজারে রাজ্য সরকারের ভ্যাকসিন স্টোর এবং দ্বিতীয়টি হেস্টিংসে ভ্যাকসিন হাব৷ বাগবাজার ভ্যাকসিন স্টোর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় টিকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷ প্রথম পর্যায়ে ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০০ জনের টিকাকরণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ কো-উইন অ্যাপে এই তথ্য মিলেছে৷ সব থেকে বেশি ভ্যাকসিন কলকাতার জন্য বরাদ্দ হয়েছে৷ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ৯৩ হাজার ৫০০ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে৷দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা৷ সেখানে ৪৭ হাজার চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে৷ সেখানে ৩৭ হাজার ৫০০ জন চিকিৎসক-নার্স সহ সকল স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন পাবেন৷ কাল রাত থেকেই বিভিন্ন জেলায় দফায় দফায় ভ্যাকসিন পাঠানোর কাজ চলেছে৷ তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা।