|
---|
আজিজুর রহমান, গলসি : দলের কর্মীদের ফেলে পেটানোর অভিযোগ খোদ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন বুদবুদ পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী সহ আরও দুই জন। দিদির রক্ষাকবচের কর্মসূচীতে দলীয় পতাকা লাগাতে গেলে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত তিনজনকে মানকর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করা হয়। আহত বদরুদ্দোজা মোল্লা, উত্তম কুমার সেনাপতি, রাকেশ সাউ জানিয়েছেন, দলের কর্মসুচী থাকায় তারা বুদবুদ বাজারে পতাকা লাগাতে যায়। আচমকা বুদবুদের উপপ্রধান রুদ্রপ্রসাদ কুন্ডু ওরফে মনা কুন্ডুর দলবল বুদবুদ বাজারে এসে তাদের তিন তৃণমূল কর্মীকে ব্যাপক মারধর করে। তাদের মধ্যে একজন ওই পঞ্চায়েত সদস্য রেখা সাউয়ের স্বামী রাকেশ সাউও আছেন। ঘটনার জেরে চরম অস্বস্তিতে পরেছে তৃণমূল। এদিকে বিজেপির জেলা নেতা রমন শর্মা কটাক্ষ করে বলেছেন, দিদির রক্ষা কবজ তার পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে রক্ষা করতে পারছে না। আর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিদির পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামীকে পেটাচ্ছে। তার প্রশ্ন, তাহলে জনসাধারনকে কি রক্ষা দেবে দিদির সুরক্ষা কবজ। ব্লক সভাপতি জনার্দ্দন চ্যাটার্জ্জী বলেন, দুই একটা সাইকো প্রেসেন্ট কিছু যদি করে থাকে তার জন্য দল তো বসে থাকবে না। দল দলের মতো চলবে। এটার একটা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ধরুন কোন পাগল কুকুর যদি কাউকে কামড়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে পাগল কুকুরটাকে তো মানুষ কামড়াবেনা। তাই আমরা অপেক্ষা করছি পরবর্তী নির্দেশের জন্য। তবে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহম্মদ জাকির হোসেন গোষ্ঠীদন্দের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সবাই এখন তৃণমূল করছে। তাই পতাকা লাগানোর মধ্যেও ব্যক্তিগত আক্রোশ আছে। সেখান থেকেই ঝামেলা হয়েছে। এটা কোন পলিটিক্যাল ঘটনা নয়। বিজেপি কটাক্ষের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের দিদির প্রকল্প দেশের সেরা হচ্ছে। তাই আমাদের দিদির করা কর্মসুচীকে কটাক্ষ করছেন। মনে রাখবেন মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনার কথার জবাব দেবে। গোষ্ঠীদন্দের প্রসঙ্গে তার দাবী, বিষয় ব্লক সভাপতি ও বিধায়ক সাহেব দেখছেন। উপপ্রধান রুদ্রপ্রসাদ কুন্ডু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের বিজেপি লোককে দেখলে একটু মাথাটা গরম হয়। যারা ১৯ সালে ২১ সালে তৃণমূল কর্মীদেরকে মারছিল। ওই সময় তৃণমূল কর্মীরা জীবন বাজি রেখে তৃণমূল কংগ্রেস টাকে জিতিয়েছে। সেই সব কর্মীরা যখন দেখছে বিজেপির কর্মীরা যারা আমাদের মারছিল তারা এখন তৃণমুলের ফ্লাগ বাঁধছে। তাই সাধারণ মানুষ সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা তার প্রতিবাদ করে বারন করেছে। কাউকে মারধর করা হয়নি বলে তিনি দাবী করেন। তারা যদি নাটক করে হাসপাতালে যায় সেটা তাদের ব্যপার। ব্লক সভাপতি এখন বিজেপির লোকদের ব্লক কমিটির সদস্য করেছে। তিনি বুথে গিয়ে দেখুক সাধারণ কর্মীরা কি বলছেন।