বুলবুল কবলিত এলাকায় মানবতার অনন্য নজির গড়লেন ট্যাক্সি চালক মহঃ সহিদুল

সামিম আহমেদ, নতুন গতি,হেনরি আইল্যান্ড: ট্যাক্সি চালক মহঃ সহিদুলের নাম অনেকেই শুনেছেন। রাজ্য শুধু নয়,রাজ্য ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তার নামের সঙ্গে পরিচিত সমাজসেবায় মানবিকতার নজির গড়ার জন্যে। তিনি যে নতুন ভারতের শক্তি তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দেশ বাসীর কাছে গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করেছেন। তাই ট্যাক্সি চালক মহঃ সহিদুল ফ্রেজার্গঞ্জের হেনরি আইল্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় শীতবস্ত্র নিয়ে হাজির হওয়ার কথা শুনে এলাকা বাসীর মনে আনন্দের চিত্র ফুটে ওঠে। ওখানে উপস্থিত হয়ে খবর নিয়ে জানলাম, ক্লাব সংগঠনের সদস্যরা থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধ বনিতার মনে অন্যরকম সাড়া পড়ে যায়। যাদের প্রকৃত শীতবস্ত্র প্রয়োজন তারা তো উপস্থিত ছিলেনই এছাড়া বিজয়বাটি গ্রামের বহু মানুষ দেখার জন্য ভীড় করেছিলেন। কথায় কথায় অনেকেই তো বলেই ফেললেন এই রকম অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে যে সমস্ত নেতা মন্ত্রীর আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা তাদের তো দেখা নেই। অথচ নিতান্ত একজন সামান্য ট্যাক্সি চালক হয়ে যে, এভাবে আমাদের কথা ভেবেছেন আমরা তো ভাবতেই পারছিনা। এমন সময় সহিদুল লস্কর প্রতিষ্ঠিত মারুফা স্মৃতি ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের ১৫ সদস্য ও শীতবস্ত্র নিয়ে হাজির। গাড়ি থেকে নেমে স্বহাস্য মুখে উপস্থিত মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন এবং খোঁজ খবর নিতে থাকেন। সহিদুল কে তাদের মধ্যে পেয়ে আনন্দ মুখরিত হয়ে ওঠে, সাথে সাথে কেউ কেউ নিদারুণ যন্ত্রণার কথা বলতে থাকেন। এতো মানুষ তার জন্য অপেক্ষা করছেন দেখে ও তাদের কথা শুনে অনেকটা আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন। ক্লাব সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে দুটো গাড়ি থেকে শীতবস্ত্র নামিয়ে নিয়ে এসে তাড়াতাড়ি বিতরণের কথা বলেন।সেই মতো প্রস্তুতি পর্ব ও শুরু হয়ে যায়। শুরু তেই ক্লাব সংগঠনের সদস্যরা গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে সহিদুল লস্কর এবং সহযোগীদের হাতে পুষ্প স্তবক তুলে দেন। কাল বিলম্ব না করে নামের তালিকা হাতে নিয়ে কয়েক জনের নাম ডাকতে থাকেন তারা উপস্থিত আছেন কিনা।পূর্বের অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে তিনি বলেন কেনো তিনি উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়েছেন। সবাই মন দিয়ে তাঁর কথা শোনেন। তিনি বলেন এই কাজ তার একার দ্বারা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এই মানবিক প্রয়াসে যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী মাসুমা খাতুন, সমাজকর্মী মহ: সফি,সমাজকর্মী সাবিনা খাতুন,সমাজকর্মী সেলিম লস্কর,সমাজকর্মী কাবির আহমেদ প্রমুখ ব্যাক্তি বর্গ।
তাদের মধ্যে উপস্থিত রুমা রায় তার মায়ের স্মৃতিতে ৫০ টি কম্বল দিয়েছেন,কেউ কেউ ৫টি,১০ টি ও দিয়েছেন, কম্বল সংগ্রহ করে ২৫০ টি কম্বল আনা হয়েছে আপনারা সকলেই পাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। তারপর সকলের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন। শীতবস্ত্র পেয়ে সমগ্র মানুষ খুবই খুশি এবং সহিদুল লস্কর ও তাঁর স্ত্রী মূল উদ্যোক্তা শামীমা লস্কর কে দু হাত তুলে আশির্বাদ করেছেন শীতবস্ত্র পাওয়া মানুষ গুলো।