দুই বছর পর মেলা হলেও মুখে হাসি নেই ব্যবসায়ীদের, সাত দিন পরেও হয়নি লাভ

কোচবিহার: করোনা আবহে দুই বছর পরে মেলা হলেও মুখে হাসি নেই কোচবিহারের রাসমেলার দোকানিদের। চরম বিপাকে মেলার ব্যাবসায়ীরা। মেলা ৭ দিন কেটে গেলেও ব্যাবসায় লাভের মুখ দেখতে পাননি বেশিরভাগ ব্যাবসায়ী। এরপর ১০.৩০ বাজতেই দোকান বন্ধ যেন গোদের ওপর বিষ ফোড়া। এবার রাস মেলায় নেই মৃত্যু কুপ ও চিত্রাহার তারও প্রভাব পড়েছে বেচা কেনায়। এরকম চলতে থাকলে মেলা থেকে লাভের মুখ না দেখেই বাড়ি ফিরতে হবে বলে জানিয়েছেন বেশিরভাগ দোকানিরা।

    দোকানিরা জানিয়েছেন, মেলায় লোক দোকানিরা জানিয়েছেন, মেলায় লোক আসতে শুরু করেন ৮ টার পরেই। এরপর রাত ১০.৩০ টায় প্রশাসনের নিয়ম মেনে দোকান বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। এর ভীষন প্রভাব পড়ছে ব্যবসায়। মেলা অন্তত ১২ টা পর্যন্ত করতে না দিলে সমস্যায় পড়তে হবে ব্যাবসায়ীদের। পৌরসভার কাছে বিশেষ আবেদন যেন মেলার সময় সীমা বাড়িয়ে ১২ টা করার পাশাপাশি আরো তিনদিন মেলা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেন তাহলে হয়ত ব্যবসায় ক্ষতি ঠেলে অনেকটা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হব।করোনা আবহে এবং বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে মানুষের পরিস্থিতি প্রচণ্ডভাবে ভেঙে পড়েছে,কারো কাছে কাজ নেই কারো কাছে অর্থ নেই এই পরিস্থিতিতে রাস মেলাতে জিনিস বিক্রি হওয়া প্রায় অসম্ভব।এই কথাই জানালেন এখানকার ব্যাবসায়ী দীনানাথ পাল তিনি আরো জানান আগামী বছরে যদি পরিস্থিতি ঠিক হয় তবেই হয়ত আমরা ঠিকমত ব্যাবসা করতে পারবো।তবে এটাও ঠিক এইভাবে আর কিছুদিন ব্যাবসা চলতে থাকলে আমাদের পরিস্থিতি শোচনীয়ভাবে ভেঙ্গে পড়বে।

    স্থানীয় এক ব্যাবসায়ী জানান প্রতি বছরে রাসমেলাতে যে বিক্রি হয়,সেটার বেশীরভাগটাই আসে বাইরের মানুষের কাছ থেকে,আর গত দুবছর ধরে করোনার কারনে হোক বা অর্থনৈতিক কারনে রাসমেলার বিক্রি একেবারেই তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে,এখন যদি আগামীবার থেকে পরিস্থিতির পরিবর্তন না হয় তবে বাইরের মানুষের পক্ষে এখানে এসে ব্যাবসা করাই মুষ্কিল হয়ে পড়বে।