বিশেষ গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করেই দুর্নীতির রহস্য ভেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:- রাজ্যে প্রথম গাণিতিক সূত্রে দুর্নীতির রহস্য ভেদ। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি সংক্রান্ত সাইবার মামলায় দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে, সাজা ঘোষণা করলো বারাসত আদলত। আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, দুই অভিযুক্ত, বাপ্পাদিত্য বিশ্বাস এবং সমিরন সাহা কে ৪০৯ ধারায় সাত বছর জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ৪১৯ ধারায় তিন বছরের জেল এবং পাঁচ হাজার টাকার জরিমানা, ৪২০ তে সাত বছর জেল এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা, ৪৬৮ (এ) ধারায় সাত বছর জেল এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা। ৪৬৯ (এ) ধারায় তিন বছর জেল এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছড়াও, ৪৭১ নম্বর ধারায় দুই বছর জেল এবং চার হাজার জরিমানা নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে অতিমারির মধ্যে জুলাইয়ে বাগুইআটির একটি বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা লোপাট হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে প্রায় দু’‌কোটি টাকা উদ্ধার হলেও, বাকি প্রায় এক কোটি টাকার হদিস মেলেনি।প্রতারিত গ্রাহকের অ্যাকাউন্টটি চেন্নাইয়ের বলে জানা যায়। কিন্তু, সেই টাকা সরানো হয়েছে বাগুইআটির ওই বেসরকারি ব্যাংকের শাখা থেকে। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ব্যাঙ্কের এক অফিসার-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। পরে ওই অফিসার এবং তাঁর এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করা হয়। বিশেষ গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করেই দুর্নীতির রহস্য ভেদ হয় বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।পুলিশি সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্ক অফিসার মোবাইলের সিম জালিয়াতি করে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বর এবং ই-মেল বদলে দেন। ওই গ্রাহকের নামে একটি ডেবিট কার্ড বার করে তা নিজের কাছে রাখেন। তার পরে সেগুলির সাহায্যেই টাকা সরিয়ে ফেলেন তিনটি ভুয়ো অ্যাকাউন্টে।ভুয়ো অ্যাকাউন্টটি তৈরি করে দিয়েছিলেন ওই ব্যাঙ্ক অফিসারের অপর এক সঙ্গী। যিনি কোনও ব্যাঙ্কের সঙ্গেই যুক্ত নন বলে তদন্তে উঠে আসে। দীর্ঘদিন মামলা চলার পর দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করলো বারাসত আদালত।