|
---|
আজিজুর রহমান : গলসি ১০ ই এপ্রিল,বাম আমল থেকে ডান আমল একের পর এক করে ১৯ টা বছর পেরিয়ে গেছে। তবুও হক এর চাকরি পাননি গলসির পারাজ গ্রামের শঙ্কর প্রসাদ ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ১৯ বছর আগেই তাঁকে ভাষা সম্প্রসারক হিসাবে নিয়োগের জন্য গলসি ১ বিডিওকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই সময়কার বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক। কিন্তু আজও হাতে নিয়োগপত্র পানন শঙ্কর বাবু। তখন থেকেই এক অফিস থেকে আর এক অফিসে চক্কর কাটছেন তিনি। তার দাবী, এই পদে চাকরির মেয়াদ ৬৫ বছর। এদিকে তার বয়স প্রায় ৬৪ ছুঁইছুঁই। মাত্র আর একবছর আছে। তবুও হাল ছাড়তে নারাজ তিনি। অবসরের আগে নিয়োগপত্র হাতে পেতে প্রশাসনের নানা মহলে দৌড়চ্ছেন তিনি। প্রশাসনের সর্বস্তরে চিঠি দিয়েছেন, যদিও তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। শঙ্করবাবু বলেন, জাগুলিপাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে ভাষা সম্প্রসারক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপন অনুযায়ী তিনি আবেদন করেন। ২০০৩ সালের ১২ অক্টোবর নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ ডাকা হয়। তবে তারপরই রহস্যজনক ভাবে সেখানে অন্য একজনকে নিয়োগ করা হয়। ওই নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লে তদন্তের নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। ২০১০ সালের ১৯ মার্চ বিডিওকে ওই নিয়োগ বাতিল করে শঙ্কর প্রসাদ ভট্টাচার্যকে নিয়োগের নির্দেশ দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক এমনটিই জানিয়েছেন তিনি। এরপর ২০১১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তার জায়গায় নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি । ২০১৭ সালে হাইকোর্ট অতিরিক্ত জেলাশাসকের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য আদেশ দেন। সেই নির্দেশকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন নিয়োগপত্র পাওয়া ব্যক্তি। তাঁর দাবি, হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। তারপরও রহস্যজনকভাবে তাকে নিয়োগ করা হয়নি। বাম আমল থেকে ডান আমল দীর্ঘ উনিশ বছর ধরে তিনি নিজের হক এর চাকরি পাচ্ছেন না বলে দাবী করেন। তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। কাজ না হলে আদালত অবমাননার মামলা করব। মামলা করার জন্য অর্থের প্রয়োজন। সেই টাকা কোথায় পাব? যার কাছে যাচ্ছি তিনিই খালি দেখছি আমি নয় ওনারা করবেন বলে দায় সারছেন। কেউ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তার দাবী, একমাসের জন্য হলেও তিনি ওই চাকরিতে জয়েন করবেন। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, তিনি দুইদিন আগে বিষয়টি শুনেছেন। শঙ্কর প্রসাদ ভট্টাচার্য সাথে যা হয়েছে সেটা অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে দুর্ভাগ্যজনক যে শঙ্করবাবু এখনও প্রযন্ত তাকে লিখিতভাবে কিছু জানননি। তাকে একটি লিখিত দিলে তিনি ওই বেনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।