|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের মাথাভাঙ্গার শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। সেই ঘটনায় তদন্তভার সিআইডি-কে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। আর সেই মামলায় হওয়া শুনানিতে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দিল সিআইডি। নির্বাচনের দিন গুলি চালানোর ঘটনায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল শীতলকুচিতে। আর সেই ঘটনাতেই সিআইডি রিপোর্ট পেশ করল এদিন। ১২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
গত ১০ এপ্রিল রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট চলাকালীন কোচবিহার জেলার শীতলকুচি গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মারা যান ৪ জন গ্রামবাসী। ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই ঘটনায় প্রভাব পড়েছিল সেই ঘটনার পরের দফার ভোটগুলির ক্ষেত্রেও।
এই ঘটনার সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার পদে ছিলেন দেবাশীষ ধর। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই সেই দেবাশীষ ধরকে সাসপেন্ড করে নবান্ন। তাঁর জায়গায় আসেন কে কান্নান। এরপর থেকে দফায় দফায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে সিআইডি। ওই ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাধিক জওয়ানকে বারবার তলব করলেও তাঁরা হাজিরা এড়িয়ে যান। সশরীরে হাজিরার বদলে ভার্চুয়ালি তদন্তে মুখোমুখি হওয়ার কথা জানানো হয় তাঁদের তরফে।
এমনকী, কেন্দ্রের কাছে এ বিষয়ে তলব করা হলেও তা এড়িয়ে গিয়েছে তাঁরা। গত বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো ঘটনায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট এদিন সিআইডি-র জমা দেওয়া রিপোর্ট তাই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, সিআইডির পেশ করা রিপোর্টে লেখা হয়েছে, শীতলকুচি-কাণ্ডের তদন্ত শেষ করা হয়েছে। গুলিকাণ্ডের তদন্ত করতে সিআইএসএফ জওয়ানদের সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, অনলাইনে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলতেই পারে। সিআইএসএফের সেই আবেদন কার্যত খারিজ করেছে সিআইডি। তাঁরা সশরীরে হাজিরার অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে আদালতে।
শীতলকুচি কাণ্ডে একজোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়েছিল, শীতলকুচির গুলিকাণ্ডে সিআইডি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট আকারে হলফনামা দিতে হবে। অন্যদিকে সিআইএসএফ গুলি কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে চালিয়েছিল, তার কার্যকারণ ইত্যাদি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে এই মর্মে কেন্দ্রের কাছ থেকেও একটি হলফনামা নেবে আদালত।