২ সেপ্টেম্বর ২০২১ মধ্যে আম্ফান জালিয়াতি রিপোর্ট দিতে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: আমফান আছড়ে পড়ার ১৫ মাস পরেও তার রেশ যেন কাটতেই চাইছে না। গতবছর মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুই চব্বিশ পরগনা। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট এবং বনগাঁ মহকুমা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বসিরহাটে ত্রাণ সামগ্রী বন্টন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। লঘু ধারায় মামলা করে বলে অভিযোগ। পুলিশের এই তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট মঙ্গলবার তলব করল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন ছোঁড়েন, আমফানের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে দুর্নীতির ঘটনা কীভাবে ঘটে ? ২০২০ সালে রাজ্যের তরফে বসিরহাটের ২ নম্বর ব্লকের বিলি করা হয় আমফান ত্রাণ। ব্লকের  ঘোরারস কুলীন গ্রামে পাঁচ ট্রাক ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয় বণ্টনের জন্য। অভিযোগ ওঠে, সেই সামগ্রী গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান বাড়ির গোডাউনে বেআইনি মজুত করার। সম্প্রতি মালতিপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে দুটি ট্রাক বোঝাই ত্রাণ সামগ্রী গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে। তাঁদের অভিযোগ ত্রাণ সামগ্রী পাচার হয়ে যাচ্ছিল এলাকা থেকে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পেয়ে  মাটিয়া থানায় এফআইআর রুজু হয়। স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর রুজু পুলিশ করলেও, মামলায় গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল ভারতীয় দণ্ডবিধির উপযুক্ত ধারা যোগ না করার।

    এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার শুনানির শুরুতেই  ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি  রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে জানতে চান, ত্রাণ সামগ্রী দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে?  মামলায় যে অভিযোগ উঠছে তার কী উত্তর রাজ্যের কাছে রয়েছে? প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান আদালতকে, বিষযটি সবিস্তারে জেনে রিপোর্ট দিতে চায় রাজ্য। উল্লেখ্য আমফান দুর্নীতি নিয়ে CAG তদন্তের নির্দেশ  দিয়েছিল কোলকাতা হাইকোর্ট। সেই তদন্তের অন্যতম বিষয় ছিলো, ত্রাণ সামগ্রী বন্টন। মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি’র প্রশ্নে কিছুটা অস্বস্তিতে রাজ্য। ২ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।