|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ডেঙ্গি মোকাবিলায় কড়া কলকাতা পুরসভা । বাড়ির জমিতে আবর্জনা জমে থাকায় খোদ মেয়র পারিষদ তারক সিংহকেই ধরানো হল নোটিস। পুরকর্মীদের ভূমিকায় খুশি মেয়র পারিষদ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জনপ্রতিনিধিদেরও মাঠে নামার পরামর্শ দিলেন মেয়র।সামনেই পুজো, উত্সবে মেতে উঠতে তৈরি হচ্ছে রাজ্য। কিন্তু তার আগে উদ্বেগ বাড়িয়ে বেড়েই চলছে ডেঙ্গির প্রকোপ। রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এ সপ্তাহে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৯৮ জন। পুজোর আগে ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের এই পরিসংখ্যান চিন্তা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে সচেতন করতে পুরকর্মীদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদেরও রাস্তায় নামতে নির্দেশ দিলেন মেয়র। পুজোর আগে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জোরকদমে কাজে নেমেছেন পুরকর্মীরা। সূত্রের খবর, মেয়র পারিষদ তারক সিংয়ের টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের একটি জমিতে জঞ্জাল জমে থাকায় তাঁকেও নোটিস ধরিয়েছে পুরসভা।স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানের পাশাপাশি, চিন্তা বাড়িয়েছে নাইসেডের রিপোর্টও। ক্রমশ বাড়ছে ‘ডেঙ্গি 3’ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যাও। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, নাইসেড ও স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনে ৫০টি নমুনা পাঠানো হয়েছিল। ৩৫টি নমুনাতেই ‘ডেঙ্গি 3’ ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে। পুরসভার দাবি, ডেঙ্গি থ্রি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও গাইডলাইন না থাকায় কাজ করতে সমস্যায় পড়ছেন কর্মীরা।কলকাতার পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে। হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে। এদিকে, দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, বিধাননগর, শ্রীরামপুর পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। উদ্বেগ বাড়চ্ছে পুরুলিয়ার পরিসংখ্যানও। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় ৫০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত। তার মধ্যে পুরুলিয়া শহরেই আক্রান্ত ১৭ জন।এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ই পরিস্থিতিতে বুধবার ডেঙ্গি নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ডেঙ্গিটা বেড়েছে কয়েক জায়গায়। দেখে নিতে হবে।’’ বৃহস্পতিবারই ডেঙ্গি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য ভবন। বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। যে সব জেলায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি, সেইসব জেলায় কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।