বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন না হওয়া সত্ত্বেও হাইকোর্টের আদেশে পরীক্ষায় বসলেন কলেজ পড়ুয়া

অংশুমান রায়,কলকাতা : কলকাতা আশুতোষ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সুপ্রিয় রায় কিছুদিন আশুতোষ কলেজে ক্লাস করার পর টিসি নিয়ে ভর্তি হয় স্কটিশ চার্চ কলেজে। আশুতোষ কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নথিভুক্ত করন তথা রেজিস্ট্রেশন এর জন্য কাগজপত্র দাখিল করেন। টিসি নিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে চলে যাওয়ার দরুন আশুতোষ কলেজের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গন ভেবেছিলেন সে তার নতুন কলেজে রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র জমা দিবেন এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ এর আধিকারিক ভেবেছেন যেহেতু রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা পর্যন্ত সে আশুতোষ কলেজে ছিল তাই তার রেজিস্ট্রেশন আশুতোষ কলেজ থেকেই হবে। এই দোলাচলের মধ্যে অনলাইন ফরম ফিলাপের দিন সে তার নাম দেখতে না পাওয়ায় চিন্তিত হয়।

    সে দুই কলেজের দোলাচল এর মধ্যে পড়ে রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার কারণে তার পরীক্ষা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। দেরি না করে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা এম কে এসোসিয়েট এর সাথে যোগাযোগ করেন। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মাসুদ করিম সাহেব ও তার সহযোগী আইনজীবী মোফাক্কেরুল ইসলাম সৈয়দ মুর্শিদ আলম সহ অন্যান্য আইনজীবীগণ অতি দ্রুততার সাথে কলকাতা হাইকোর্টে ছাত্রের হয়ে মামলা দায়ের করেন। কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি অরিন্দম সিনহা এই মামলার রায় দান করেন

    “স্কটিশ চার্চ কলেজ কে দ্রুত রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া'”

    সুপ্রিয় রায় বলেন

    আশুতোষ কলেজ রেজিস্ট্রেশন জনিত ফিস সহ আনুষঙ্গিক ফিস ফেরত দেন এবং ইউনিভার্সিটি পরীক্ষায় বসতে দেন উকিল সাহেবদের সহযোগিতা তথা এম কে এসোসিয়েট এর দ্রুত সহযোগিতায় আজ এই সাফল্য আগামী দিনে আমার জীবনকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

    এমকে এসোসিয়েট এর পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মোফাক্কেরুল ইসলাম বলেন

    ছাত্র যৌবন দেশের ভবিষ্যৎ আমরা সর্বদা ছাত্র দের যেকোনো আইনি সমস্যায় দ্রুততার সাথে বিচার পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করি।