|
---|
শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বাড়িয়ে দেওয়া হতে পারে কনটেন্টমেন্ট জোন।গতকালই শিলিগুড়িতে সাতটি ওয়ার্ডকে কনটেন্টমেন্ট জোন করে দেওয়াতে সমস্যায় পড়ে গেছেন ভোটের প্রচারে বের হওয়া প্রার্থীরা।তারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন।বিশেষ করে কনটেন্টমেন্ট জোন নিয়ে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে তাতে ওয়ার্ডের বাসিন্দারা আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।অথচ এবারের এই তৃতীয় ঢেউ অতটা মারাত্মক নয় বলে দাবী করছেন চিকিৎসকেরা।করোনায় আক্রান্ত বাড়ি কিংবা flat কে আটকিয়ে দিলে সমস্যা অত বাড়ত না বলে দাবী প্রার্থীদের।আবার এটাও কথা উঠেছে যে বা যারা করোনা আক্রান্ত তাদের বাড়িতে ভোটের sleepপৌছানো কিংবা অন্য কোন কাগজ কারাই বা পৌছে দেবেন?প্রার্থীরা মনে করছেন করোনা আক্রান্ত পুরুষ কিংবা মহিলা সেরে গেলেই ভোট দিতে যাবেন,তাই এত চিন্তার কিছুই নেই।আবার এটাও কথা উঠেছে সেরে গেলেই সেই আক্রান্ত পুরুষ /মহিলাকে কি ভোট দিতে অনুমতি দেওয়া হবে?কে দেখবে এই ব্যাপারটা।এটা নিয়ে চিন্তায় রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনও।সব মিলিয়ে শিলিগুড়িতে ভোটের আগে প্রচার নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রার্থীরা আর ভোট দেওয়া যাবে কি যাবে না এটা নিয়ে অনিশ্চয়তা ভোটারদের মধ্যে যারা করোনা আক্রান্ত আর চিন্তায় সাধারন মানুষও যারা ভাবছেন এই করোনা আবহে কিভাবে ভোট দিতে যাবেন,আরো সমস্যায় বয়ষ্ক মানুষেরা যারা ইচ্ছুক ভোট দিতে অথচ সংক্রমনের কারনে যেতে দ্বিধাবোধ করছেন।
করোনা সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে বাড়তে থাকলেও এখনও হুঁশ ফেরেনি বহু মানুষের। প্রশাসনের তরফে লাগাতার প্রচার চালানো হলেও এখনও সচেতন নয় অনেকেই। মাস্ক না পড়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। সেই দৃশ্য চোখে পড়ল বৃহস্পতিবারও জলপাইগুড়িতে। অন্যান্য দিনের মতন এদিনও সাধারন মানুষকে সচেতন করতে পথে নামে জলপাইগুড়ি পুলিশ প্রশাসন ও জলপাইগুড়ি পুর প্রশাসক বোর্ড। অভিযানে সামিল হন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সন্দীপ মাহাতো, সদর মহকুমা শাসক সুদীপ পাল। কোতোয়ালি পুলিশ কে সঙ্গে নিয়ে জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজার সহ করোনার বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা প্রচার করা হয় । পাশাপাশি মাস্ক পড়েনি এমন মানুষদের ধরে করোনা টেস্ট হলো এদিন।