|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: তপশিলি জাতি অথবা উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর জাতিদের সরকারি বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে ওঠে তাদের জাতি শংসাপত্র। তবে দেখা যায় বহু ক্ষেত্রেই এই জাতি শংসাপত্র পেতে ছোটাছুটি করতে হয় উপভোক্তাদের। এমনকি একটা সময় ছিল যখন বিভিন্ন অফিস কাছারিতে ঘুরেও মাসের পর মাস ধরে এই জাতি সংশাপত্র পেতেন না আবেদনকারীরা। এই পরিকাঠামোয় বদল এনেছে রাজ্য সরকার। পরিকাঠামোয় বদল আসার পাশাপাশি বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে গ্রামে গ্রামে অথবা শহর এলাকায় ক্যাম্প করে এই জাতি শংসাপত্র দেওয়ার কাজ চালানো হচ্ছে।সেই রকমই বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বীরভূমের মহম্মদ বাজার ব্লক এলাকায় ক্যাম্প করে এলাকার তপশিলি জাতি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষদের হাতে এই শংসাপত্র তুলে দেওয়া হল। আঙ্গারগড়িয়ার কেদারপুর ভবানন্দ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্প্রতি এই ক্যাম্প করা হয় বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এবং সেখানে আনুমানিক আড়াই হাজার আবেদনকারীর হাতে এই শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।এইভাবে পাড়ায় বসে শংসাপত্র পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল হাসি দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে মুখে। এই জাতিগত শংসাপত্র বিতরণের পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, এই ব্লক এলাকায় ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এর মধ্যে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত পড়েছে প্রস্তাবিত ডেউচা পাঁচামি কয়লা খনি এলাকায়। সেখানকার জন্য আলাদা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং বাকি ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আড়াই হাজার মানুষের হাতে এই শংসাপত্র তুলে দেওয়া হল।