|
---|
নতুন গতি, মালদা: সিবিএসই পরীক্ষায় গোটা দেশে নজর কাড়ল মালদা। ক্লাস টেন বোর্ডের পরীক্ষায় দেশের মধ্যে সম্ভাব্য তৃতীয় হয়েছে সুমাইতা লাইসা। রাজ্যে সম্ভাব্য প্রথম সে। খুশির হাওয়া গোটা মালদা জেলায়। সে পেয়েছে ৯৯.৫ শতাংশ। সে ঊষা মার্টিনের ছাত্রী। ক্লাস থ্রি থেকে এই স্কুলে। বরাবর প্রথম হয়ে এসেছে। তার ফলাফলে খুশি বিদ্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। প্রিন্সিপ্যাল সাক্ষর চক্রবর্তী বলেন,‘সুমাইকার ফলাফলে আমরা খুশি। ও যে এবার ভাল ফলাফল করবে, আমাদের আশা ছিল। গোটা দেশে তৃতীয় র্যাঙ্ক করা বিশাল ব্যাপার। আমরা ওর জন্য গর্বিত।’ সুমাইকার মোট নম্বর ৫৯৭। ইংরেজিতে তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৯, বাংলায় ৯৯, অঙ্কে ১০০, সায়েন্সে ৯৯, সোশ্যাল সায়েন্সে ১০০ এবং ফাউন্ডেশন অফ আইটি-তে ১০০। এদিন শহরের বিবেকানন্দপল্লীর বাড়িতে দুপুরে তখন খুশির মেজাজ। একের পর এক মিষ্টি খাওয়ানো হচ্ছে সুমাইকাকে। বাবা তৌহিদুল ইসলাম হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক । মা কহিনুর খাতুন গৃহবধূ। । মা বাবা বলেন, শুরু থেকেই পড়াশোনাতে সিরিয়াস । ধীর ও শান্ত সুমাইতা লাইসা টিভিতে কার্টুন দেখে । রাত জেগে পড়তে চাইনা । ভোরে ভোরে ওঠে পড়াশোনা শুরু করে সে । পরিশ্রম ও মনোযোগী পড়াশোনার প্রতি অপরিসীম আগ্রহ তার । আমরা খুবই খুশি হয়েছি । রেজাল্ট বের হওয়ার পর সাফল্য পেয়ে সকলের অভিনন্দন ও খুশিতে ভাসছে সুমাইতারা। সুমাইতা ২ বোন ও ১ ভাই। বাড়ির বড় সে। মেঝ বোন রুমাইতা ক্লাস নাইনের ছাত্রী। ভাই আব্রার ক্লাস ওয়ানের ছাত্র। সকলেই ঊষা মার্টিনের পড়ুয়া। জানা গেছে, সিবিএসই-তে ক্লাস টেন বোর্ডের পরীক্ষায় ১৮.১৯ লাখ পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে সম্ভাব্য তৃতীয় স্থান দখল করে সুমাইতা। শুধু সুমাইতাই নয়, তার মতো আরও পরীক্ষার্থী রয়েছে ওই র্যাঙ্কে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে তার। ইচ্ছে দিল্লি বোর্ডের অধীনে পড়াশোনা করার। আপাতত আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েছে। ফলাফলের অপেক্ষায় এখন। চিকিৎসক হয়ে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ এলে কোনটা বেছে নেবে? ‘বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছে আমার নেই। দেশে থেকে দেশের মানুষদের আমি চিকিৎসা করতে চাই।’ জানাল সুমাইতা। এ বছর ঊষা মার্টিন থেকে মোট ২৪ জন পরীক্ষার্থী ক্লাস টেন বোর্ডের পরীক্ষায় বসে। তার মধ্যে ৯০ শতাংশের ওপর পায় ৯ জন। ৮০ শতাংশের ওপর ৬ জন। ৭০ শতাংশের ওপর ৫ জন এবং ৬০ শতাংশের ওপর ৪ জন।