ঐতিহ্যবাহী মেদিনীপুর টাউন স্কুলে ১৩৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নতুন গতি, মেদিনীপুর: কোভিড বিধি মেনে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রবিবার অবিভক্ত মেদিনীপুরের প্রাচীনতম বিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম, স্বাধীনতা আন্দোলনে বিপ্লবীদের আঁতুড়ঘর, মেদিনীপুর টাউন স্কুলে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হল ১৩৯ তম প্রতিষ্ঠা দিবস। কোভিড-১৯ এর কারণে ছাত্রদের উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল কিন্তু প্রধান শিক্ষকের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সমস্ত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মিবৃন্দ ও নৈমিত্তিক কর্মিবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনা বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অনন্যা পান্ডে।

     

    অতঃপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা রাষ্ট্রপতি-পুরস্কারপ্রাপ্ত জাতীয় শিক্ষক ও রবীন্দ্র গবেষক ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী। বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন বরিষ্ঠ শিক্ষক জহরলাল পইড়্যা। প্রতিষ্ঠাতা কার্তিক চন্দ্র মিত্রের প্রতিকৃতিতে ও বিদ্যালয়ের চারজন প্রাক্তন শহীদ প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য প্রদান করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মিবৃন্দ।

     

    বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য প্রদানের পর শহীদ ব্রজকিশোর চক্রবর্তীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য প্রদান করা হয় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। স্বাগত ভাষণ রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাঁর বক্তব্যে প্রতিষ্ঠাতা কার্তিক চন্দ্র মিত্রের জীবন ও কর্ম, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, স্বাধীনতা সংগ্রামে ও বিপ্লবী আন্দোলনে টাউন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের ভূমিকা সহ বিদ্যালয়ের অতীত ও বর্তমান বিষয়ে সবিস্তারে উল্লেখ করেন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন শিক্ষিকা মিতালী দাস। সংগীত পরিবেশনে অংশগ্রহণ করেন অনন্যা পান্ডে, মন্দিরা খান্ডা, অনামিকা তেওয়ারি, মিঠুরানি মূর্মূ, মীরা পাল, মিঠু পাহাড়ি প্রভৃতি শিক্ষাকাগণ। শহীদ স্মরণ করেন শিক্ষক জহরলাল পইড়্যা ও শিক্ষিকা মালতি সাউ।বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ও শহীদদের উদ্দেশ্যে জয়ধ্বনি তোলেন বিদ্যালয়ের সহকর্মী দীপক চক্রবর্তী ও কৌশিক দাস ও কন্ঠ মেলান উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীবৃন্দ। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি সূচিত হয়।