বেসরকারি রেল কোম্পানী নিজের ইচ্ছামতো বাড়াতে পারে ভাড়া, জানিয়ে দিলো কেন্দ্র

 

    নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১৪ সালে সরকার গঠন করে বিজেপি, প্রতিশ্রুতি সম্পূর্ণ করাতো দূরের কথা মাইনাসে চলে যায় সমস্ত প্রতিশ্রুতি। পুনরায় ২০১৯ সালে সরকার গঠন করে বিজেপি। একবছর অতিক্রম করেছে পুনরায় সরকার গঠন করার। এই একবছরের মধ্যেই দেশকে শত বছর পিছনে ঠেলে দিলো কেন্দ্র সরকার। দেশের এই করুণ দশা প্রাকৃতিক ভাবে নয় এগুলো সব ইচ্ছাকৃতভাবে করা হচ্ছে বলেই দাবি দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণনের।

    একটার পর একটা সরকারী সংস্থা বেসরকারী করণ করে দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। ভারতের সম্পদ দেশের কিছু সংখ্যক পুঁজিবাদিদের হাতে তুলে দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার অভিযোগ কংগ্রেস সহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিগনের। দেশের প্রকৃত সমস্যা গুলোর দিকে না ধ্যান দিয়ে ইচ্ছা করে জনগণের চিন্তা ভাবনা অন্য দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। সরকারের আসল উদ্দেশ্য কি তা এখনও প্রকাশ্য নয় তবে খুব ভয়ানক পরিস্থিতি আসছে বলে আখ্যা দেন বিশিষ্ট ব্যক্তিগন। কিছুদিন আগে যখন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অবমাননা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ কে তখন প্রশান্ত ভূষণ বলেছিলেন যে আজকে যদি আমরা প্রতিবাদ না করি তাহলে কালকে প্রতিবাদ করার মতো আমাদের হাতে আর কিছু থাকবে না। ওনার এই বক্তব্যের দ্বারা বোঝা যাচ্ছে দেশ কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।

    আজকে দেশের GDP মাইনাসে চলে গেছে।GDP মাইনাসে চলে যাওয়ার পিছনে ভগবানকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা শীতারামান । এর আগে যখন পিয়াজের দাম বৃদ্ধি হয়ে গেছিলো তখন ইনি বলেছিলেন যে আমি পেঁয়াজ খায়না তাই ওই নিয়ে আমার কোন চিন্তা নেই।

    এই করোনার আবহাওয়াতে দেশের নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের জীবন যাপন করা মুস্কিল হয়ে গেছে, যখন বিনা পরিকল্পনা করে দেশকে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছিল তখন হাজার হাজার শ্রমিক রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মারা গেছে পুরো দেশ দেখেছে অথচ আজকে যখন সেই সমস্ত অসহায় শ্রমিকের কে সাহায্য করার সময় এসেছে তখন কেন্দ্র সরকার বলছে যে শ্রমিকের মৃত্যুর কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই তাই কোনো ব্যবস্থা হবে না।

    আজকে দেশের এত করুন দশা হয়ে গেছে যে চাকরিজিবি মানুষের চাকরি টিকবে কি টিকবে না তাতেও সন্দেহ জনক। কিছুদিন আগে BSNL তার ৮৬ হাজার কর্মীকে বাদ দিয়ে দেন, State Bank of India ৩০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করে দেন। অবশেষে দেশের নিম্ন শ্রেণী থেকে উচ্চ শ্রেণীর মানুষের দৈনন্দিন সব চাইতে বেশী ব্যবহার কারি দেশের সম্পদ ভারতীয় রেল কেউ বিক্রি করে দিলেন কেন্দ্র সরকার।

    বেশ কিছুদিন থেকেই রেলে বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চাইছে মোদী সরকার। এবার সরকার জানাল জানিয়ে দিলো যে বেসরকারি সংস্থা ট্রেন চালাবে, তারা ইচ্ছামতো বিভিন্ন রুটে ভাড়া নিতে পারবে। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব বলেন, “বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ইচ্ছামতো ট্রেনের ভাড়া স্থির করার অধিকার দেওয়া হবে। তবে একই রুটে চলবে এয়ার কন্ডিশনড বাস ও প্লেন। ভাড়া স্থির করার সময় বেসরকারি সংস্থাকে একথা মাথায় রাখতে হবে।

    ট্রেনের ভাড়া ভারতবর্ষে খুবই সংবেদনশীল বিষয়। ভারতে প্রতিটি ট্রেন রোজ যত যাত্রী বহন করে তা অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার সমান। দেশের দরিদ্র জনসংখ্যার এক বিরাট অংশ যাতায়াতের জন্য ট্রেনে কেই বেছেনেন।

    রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, অ্যালস্টম এস এ, বম্বার্ডিয়ার ইনকর্পোরেটেড, জিএমআর ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং আদানি এন্টারপ্রাইসেস লিমিটেড ইতিমধ্যে রেলে বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। রেল মন্ত্রকের হিসাব মতো আগামী পাঁচ বছরে রেলে ৭৫০ কোটি ডলার বা ৫৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বেসরকারি বিনিয়োগ আসতে পারে।

    গত জুলাই মাসে সরকার ঘোষণা করে, বেসরকারি সংস্থাকে ১৫১ টি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। নয়াদিল্লি ও মুম্বই রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের দায়িত্বও বেসরকারি হাতে দেওয়ার কথা বলা হয় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে । এছাড়াও জানানো হয় ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য জাপান থেকে কম সুদে ঋণ পেতে পারে সরকার । কিন্তু তার আগে রেল পরিষেবার আধুনিকীকরণ করা জরুরি। তাই সরকার ইতিমধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।