|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই কি রাজ্যে উপনির্বাচন করিয়ে নেবে উপনির্বাচন কমিশন? সেই সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ, ভোটের ফলপ্রকাশের পর ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করিয়ে নেওয়াটাই রীতি৷ গত ২ মে রাজ্যে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল৷ সেই হিসেবে আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে৷
ইতিমধ্যেই অগাস্টের শেষ সপ্তাহ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ উপনির্বাচন করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে রয়েছে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাস৷ অক্টোবরে যেহেতু রাজ্যে দুর্গা পুজো সহ উৎসবের মরশুম চলবে, তাই ওই সময়ে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ সেই অঙ্কেই মনে করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরেই উপনির্বাচন সেরে ফেলতে পারে নির্বাচন কমিশন৷
সাধারণত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর ভোট গ্রহণের জন্য ২৪ দিন সময় নেয় কমিশন৷ এর মধ্যে ১০ দিন কাজে লাগানো হয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পন্ন করার জন্য৷ আর ১৪ দিন দেওয়া হয় ভোট প্রচারের জন্য৷ সেই হিসেবে আগামী মাসের শুরুতেও উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হলেও, তা সম্পন্ন হতে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ পড়ে যাবে৷এই মুহূর্তে রাজ্যের মোট সাতটি আসন বিধায়ক শূন্য অবস্থায় রয়েছে৷ তার মধ্যে পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন করতে হবে, দু’টি বিধানসভায় প্রার্থীর মৃত্যুতে ভোটগ্রহণই স্থগিত হয়ে যায়৷
ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, দিনহাটা এবং শান্তিপুরে উপনির্বাচন হওয়ার কথা৷ আর সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে প্রার্থীর মৃত্যুতে ভোটগ্রহণই স্থগিত হয়ে গিয়েছিল৷ নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে ভোটে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও৷
মুখ্যমন্ত্রী সোমবারও দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত অবিলম্বে রাজ্যে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা৷ রাজ্যের শাসক দল মনে করছে, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ যে কেন্দ্রগুলিতে ভোট হওয়ার কথা, সেখানেও সেভাবে করোনা সংক্রমণের খবর নেই৷ ফলে ভোচ করানোর জন্য এটাই আদর্শ সময়৷
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য পাল্টা দাবি করে বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী একদিকে ট্রেন বন্ধ করে রাখছেন, স্কুল বন্ধ করে রাখছেন যাতে করোনা না ছড়ায়৷ করোনার ভয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুরভোটের দিন ঘোষণা করছে না৷ আবার তারাই উপনির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছে৷ এরকম পরস্পর বিরোধী কথা বললে তো হবে না৷ করোনার মধ্যে উপনির্চানের করাতে এত তাড়া কীসের?’ তৃণমূলের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা জবাব, ‘ফের ভোট হলে জামানত জব্দ হওয়ার আশঙ্কাতেই দিলীপবাবুরা এ সব কথা বলছেন৷’