চাঁচলে বড়ো ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার অনুমতি, ফুটপাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ, ক্ষোভ

 

    চাঁচল,১৫ মে,মহ: নাজিম আক্তার: কয়েকদির পরে ঈদ উৎসবে মেতে উঠবে বাঙালির একাংশ। কিন্তু‌ এই লকডাউনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দোকান থেকে শুরু করে শপিং মল সহ প্রায় সব বন্ধ।ঈদের কেনাকাটা নিয়ে মালদার চাঁচল মহকুমার মানুষ চিন্তিত থাকলেও বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের নির্দেশে চাঁচল পুলিশ প্রশাসন ও মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় চাঁচল শহরে বড়ো বড়ো স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাঁপড়ের ও‌ জুতোর ‌দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে।প্রতিদিন দুপুর একটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতি দিলেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার অনুমতি দেয়নি বলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

    জানা যায় লকডাউন কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গত সোমবার মালদার চাঁচলে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। ব্যস্ত কেনাকাটা ও বাজার করতে
    যেন এক অভিনব মেলা বসে চাঁচল শহরে। চাঁচল ব্লক ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে দোকানপাট বন্ধের পাশাপাশি দৈনিক বাজারটি‌ ফুটবল মাঠে স্থানান্তর করে দেন বলে জানা যায়।

    আজ বড়ো বড়ো ব‌বসায়ীদের কাপড় ও জুতোর দোকান খোলার অনুমতি দিলেও রাস্তার ধারে বসা ক্ষুদ্র কাপড় ও জুতো ব্যবসায়ীদের কোনো অনুমতি দেয়নি বলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা।

    ক্ষুদ্র জুতো ব্যবসায়ী প্রতিমা ঘোষ ও আবেদ হুসেনরা জানান লকডাউনে তারা বাড়িতে বসে রয়েছে। সঞ্চিত অর্থ প্রায় শেষের দিকে।এই ক্ষুদ্র ব্যবসা করেই চলত তাদের পরিবার।লকডাউনে বাড়িতে শুরু হয়েছে অভাব-অনটন। ঈদের বাজার উপলক্ষে কিছু আয়ের উৎস দেখলেও তা বন্ধ‌ রাখার নির্দেশ দেয় প্রসাশন ।

    চাঁচল মহকুমার এসডিপিও সজল কান্তি বিশ্বাস জানান, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতিদিন দুপুর একটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত বড়ো ব্যবসায়ী ও শপিং মল খোলার অনুমতি দিয়েছে। যেহেতু তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই বেঁচা কেনা করতে পারবে বলে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার অনুমতির ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে বলে জানান।