পুলিশকর্মীদের মানসিক অবসাদ দূর করতে ‘লেটস্ ওপেন আপ’ চালু করল চন্দননগর পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা : মানসিক অবসাদ নিয়ে বহু কথা হয়। পেশার চাপ, পরিবারকে সময় দিতে না পারা, ইত্যাদি নানা কারণে প্রবল চাপে থাকেন অনেকেই। এই সমস্যার বাইরে নেই পুলিশকর্মীরাও। যে কোনও সময় ডিউটি, চাপের মুখে কাজ, পরিবারকে যথেষ্ট সময় দিতে না পারা এই পেশার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। এই সমস্যার দিকেই নজর রাখতে নতুন পদক্ষেপ চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশকর্মীদের মানসিক অবসাদ দূর করতে ‘লেটস্ ওপেন আপ’ চালু করল চন্দননগর পুলিশ। খোলাখুলি কথা বলতেই এমন শিবির। বুধবার, চুঁচুড়া থানায় পুলিশকর্মীদের নিয়ে লেটস ওপেন আপের সেশন হয়। সেখানে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্নব ঘোষ, ডিসি হেডকোয়ার্টার নিধি রানী,ডিসি চন্দননগর ভিদিত রাজ বুন্দেশ, এসিপি মৌমিত দাস উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের পোশাকে থাকলে নীচু তলা- উঁচুতলার পুলিশকর্মীর বিভেদ হতে পারে তাই আজ চুঁচুড়া থানায় সাদা পোশাকে পুলিশকর্মীদের নিয়ে সেশন হয়। আগামী দিনে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে সব থানায় এমন শিবির হবে। চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। কারও কোনও সমস্যা হলে আধিকারিকদের জানাতে বলেন। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার (Police Commisioner) অর্নব ঘোষ বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় পুলিশকর্মীরা অবসাদে ভোগেন। তাঁদের কী কারনে অবসাদ তা কাউকেই বলেন না। কোনও অঘটন ঘটলে তখন জানা যায়। লেটস ওপেন আপের মাধ্যমে পুলিশকর্মীরা অফিসারদের তাঁদের সমস্যার কথা বলতে পারবে কোনও সংকোচ না করেই। থানার আইসিরা দেখবেন পুলিশকর্মীরা কেন অবসাদগ্রস্ত হচ্ছেন। পুলিশের চাকরিতে অনেক রকম চাপ থাকে। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। দিনের পর দিন বাড়ি ছেড়ে, পরিবার ছেড়ে থাকতে হয়।’ এছাড়া অন্য অনেক কারণে অবসাদ হতে পারে। সম্প্রতি শ্রীরামপুর থানার পিয়ারপুর ফাঁড়িতে কনস্টেবল বিশ্বপ্রিয় কুন্ডু ব্যারাকে আত্মঘাতী হন। বিষয়টি তাঁকে খুব নাড়া দিয়েছে বলে জানান সিপি। কোনও পুলিশকর্মী যদি নিজে তাঁর সমস্যার কথা বলতে দিধা করেন। তাহলে তাঁর ব্যারাকের সহকর্মীদের থেকে জানা যেতে পারে।

     

    পুলিশ কমিশনার জানান,শারীরিক ভাবে অসুস্থ হলে যেমন কাজে সমস্যা হয়, তেমনই পুলিশকর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যও ঠিক রাখা জরুরি। প্রয়োজন হলে কাউন্সিলরের সাহায্য নিতে পারবেন পুলিশকর্মীরা।