জনস্রোতে ভেসে জনগণের ইচ্ছা পূরণে চাপড়ার জননেতা জেবের সেখের মনোনয়ন দাখিল

বাবুসোনা,নতুন গতি,নদীয়া: জনস্রোতে ভেসে জনগণের ইচ্ছা পূরণে নদীয়ার চাপড়ার জননেতা জেবের সেখের মনোনয়ন দাখিল কার্যত জনস্রোতে ভেসে নদীয়ার চাপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থীর জেবের শেখ বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর জেলা প্রশাসনিক ভবনে মহকুমা শাসকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন,’ আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আদর্শকে সামনে রেখে এবং তার অনুপ্রেরণায় চাপড়ার মানুষের জন্য কাজ করেছি। দল আমাকে টিকিট না দিয়ে দুবারের বিধায়ক রুকবানর রহমানকে প্রার্থী করেছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক থেকে বুথ পর্যন্ত কর্মী-সমর্থক, নেতারা এবং চাপড়ার আপামর মানুষ তাকেই তৃতীয়বার বিধায়ক হিসেবে দেখতে চান না।

     

    তারা প্রার্থী বদলের দাবি তুলেছিলেন। তাদের দাবি ছিল, ভূমিপুত্র হিসাবে আমাকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাবেন। তাদের আবেগে আমি সাড়া না দিয়ে পারিনি। আমি আগাগোড়াই চেয়ে এসেছি, চাপড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস দলকে বাঁচাতে হবে। এখানে নির্দল প্রার্থী হয়ে না দাঁড়ালে, মুসলিম ভোট চলে যেত আইএসএফে আর হিন্দু ভোট চলে যেত বিজেপিতে। আমাদের লড়াই, এখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে বাঁচানোর লড়াই। আমি নিশ্চিত রুকবানুর রহমান ৩০ হাজারের বেশী ভোট পাবেন না।আর বিজেপি প্রার্থী পাবেন ৩৫ হাজারের মতো ভোট।নির্দল প্রার্থী হিসেবে আমরা ওই কেন্দ্র থেকে ৫০ হাজার ভোটে লিড দেব।’ জেতার পরে তিনি তার জয় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি উৎসর্গ করবেন বলে জানিয়েছেন। রুকবানুর রহমানকে দলের প্রার্থী হিসেবে না চেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের একটা বড় অংশই চাপড়ায় রাস্তায় নেমে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ আন্দোলন করেছিলেন। দলের সিদ্ধান্ত বদলের জন্য তারা নির্দিষ্ট সময় অবধি অপেক্ষা পর্যন্ত করেছিলেন। শেষপর্যন্ত তারা জেবের শেখকেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাই তার মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন তারা সঙ্গে থাকবেন না তা কী কখনো হয়।

     

    প্রায় 160 বাসে,আরও প্রায় শ’খানেক ছোট-বড় গাড়িতে কয়েক হাজার মানুষ কৃষ্ণনগরে এসে জেবের শেখের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সাক্ষী হয়ে রইলেন।এই বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েত দেখে কার্যত শাসকদলের ভুড়ো কুচকাতে শুরু করেছে।পথ চলতি সাধারণ মানুষ থেকে কৃষ্ণনগর শহরের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে যেখানে ব্লক সভাপতির এত জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও কেন পেলেন না এবারের বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট?প্রসঙ্গত বিগত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে চাপড়া বিধানসভা কেন্দ্রের এবারের বিধানসভা নির্বাচনে টিকিটের দাবিদার হয়ে উঠেছিল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির নাম।লকডাউন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চাপড়া বিধানসভা এলাকার প্রতিটি গ্রামের অসহায় পরিবারের হাতে খাবার তুলে দিতে দেখা গেছে ওই ব্লক সভাপতি কে।

     

    এছাড়াও ওই বিধানসভা এলাকায় কখনো কোন মানুষ বিপদে আছে শুনলে ছুটে গেছেন প্রতিনিয়ত জেবের বাবু স্বাভাবিকভাবেই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়বেন ব্লক সভাপতি তা কার্যত সাধারণ মানুষের কাছে ঠিক হয়েছিল।তাল কাটলো হঠাৎ করে আবারো ওই কেন্দ্রের বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে টিকিট দেওয়ার ফলে বিক্ষোভের আছ পড়তে শুরু করে ওই বিধানসভা এলাকার মানুষের মধ্যে,কৃষ্ণনগর টু করিমপুর রাজ্য সড়কের উপরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাই ওই এলাকার মানুষজন এরপর স্থানীয় মানুষজন সিদ্ধান্ত নেয় জেবের শেখ নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং তারা ঘরের ছেলেকে বিধায়ক বানিয়ে আনবে।নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য এদিন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিলেন।