|
---|
হরিশ্চন্দ্রপুর,মহ:নাজিম আক্তার,: হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটা এলাকায় উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শনিবার পালিত হল সূর্য বা ছট পূজা। কালী পূজার পর শুক্লা পক্ষের ষষ্ঠি তিথিতে নদী বা পুকুর তীরে সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে এই পূজা করা হয়। বিকেলে পূণ্যার্থীরা উপবাস থেকে ফুল, প্রসাদ, বাদ্য-বাজনাসহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে তুলসিহাটা মার্কেটে পুকুর ঘাটে উপস্থিত হয়। সূর্য অস্ত যওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পূণ্যার্থীরা নদীতে গোসল এবং হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে সূর্যের দিকে মুখ করে কুলোয় সাজানো প্রসাদ নিয়ে পূজা শুরু করে। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর ফিরে যান। পরের দিন সূর্য উদয় হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত থেকে একই নিয়মে পূজা করেন। নদীতে স্নান এবং সরবত পানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় পূজা। এসময় একে অন্যকে আবির মাখিয়ে দেন পূণ্যার্থীরা। মনোবাসনা পূর্ণ, আপদ-বিপদ দূরীকরণসহ বিভিন্ন মানত পূরণে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর হরিজন, রবিদাস,রজক ও মাড়োয়ারি সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন সম্প্রদায় এ পুজা পালন করে থাকে।
তুলসিহাটা ছট পূজা উৎসব কমিটির বিশেষ এক উদ্যোক্তা সুশান্ত গুপ্তা জানান, ছট পূজা হিন্দু বর্ষপঞ্জির কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে উদযাপিত একটি প্রাচীন হিন্দু পার্বণ। সূর্যোপসনার এই অনুপম লৌকিক উৎসব পূর্ব ভারতের বিহার, ঝাড়খ, পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং নেপালের তরাই অঞ্চলে পালিত হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হিন্দুদের দ্বারা পালিত হওয়া এই উৎসবটি অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের মধ্যেও পালিত হতে দেখা গেছে। ধীরে ধীরে এই পার্বণ প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রচলিত হয়েছে। ছট পূজা সূর্য ও তার পত্মী ঊষার (ছটী মাঈ) প্রতি সমর্পিত হয়, যেখানে তাকে পৃথিবীতে জীবনের স্রোত বহাল রাখার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও আশীর্বাদ প্রদানের কামনা করা হয়। ছট পূজায় কোনো মূর্তি পূজা করা হয় না।