দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকেও ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরেই বেশ কয়েকটি বড় জেলাকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকেও ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতোই কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ইতিমধ্যেই, নবান্নে এনিয়ে প্রস্তাব জমা পড়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবুজ সংকেত দিলেই পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র থেকে মুছে যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নাম। তার পরিবর্তে দেখা মিলবে সুন্দরবন, বারুইপুর এবং ডায়মন্ড হারবার জেলার। নবান্ন সূত্রে খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবছরেই হয়তো দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভেঙে এই তিনটি জেলা আত্মপ্রকাশ করতে পারে।মূলত প্রশাসনিক কাজকর্ম এবং সেখানকার মানুষদের সুবিধার জন্যই বিশাল আকার জেলা দক্ষিন ২৪ পরগনাকে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক কাজের জন্য এতদিন সেখানকার মানুষদের ছুটে আসতে হত আলিপুরে। এখন দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভেঙে তিনটি জেলা হলে সে ক্ষেত্রে খুব কাছাকাছিই মানুষরা প্রশাসনিক কাজের সুবিধা পাবেন। প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে ডায়মন্ড হারবার ও সুন্দরবনে থাকবে চারটি করে ব্লক এবং বারুইপুরে থাকবে ১১টি ব্লক।বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিনটি পুলিশ জেলা রয়েছে। তার ভিত্তিতেই এই জেলাগুলিকে প্রশাসনিক জেলা হিসেবে রূপ দেওয়া হবে। প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য সুন্দরবন হিসেবে পরিচিত গোসাবাকে বারুইপুরের মধ্যে রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এই তিনটি জেলার মধ্যে সুন্দরবন জেলার সদর কার্যালয় কাকদ্বীপ, বারুইপুর জেলার সদর কার্যালয় টংতলায় করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও ডায়মন্ড হারবারের এক্ষেত্রে সেটি ডায়মন্ডহারবার বা আলিপুরে করা হতে পারে। সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জেলার আয়তন অনুসারে বিধানসভার বিন্যাসও সেভাবে রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। যার মধ্যে বারুইপুরে ১১টি, ডায়মন্ড হারবারে ৯টি এবং সুন্দরবনে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্র রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।