জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে কেন শিশু দিবস পালন করা হয়?

নতুনগতি প্রতিবেদন,১৪ নভেম্বর : ১৪ নভেম্বর দিনটি প্রতি বছর শিশু দিবস (Children’s Day 2019) হিসাবে পালিত হয় ভারতে। এই দিনটি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর (Pandit Jawaharlal Nehru) জন্মদিন। স্কুলগুলিতে এই দিনটিতে পড়াশুনোর পরিবর্তে নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোথাও আবার শিশুদের পিকনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। কচি বাচ্চাদের হাতে এই দিনটিতে তুলে দেওয়া হয় নানা উপহারও। সব মিলিয়ে শিশু দিবস (Children’s Day) পুরোপুরিই শিশুদের দিন। দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে শিশুদের গুরুত্বকে মনে করেই এই দিনটি পালিত হয়। এছাড়াও, এই দিনে শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সব মানুষকে আরও সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। শিশুরা যাতে সঠিক শিক্ষা পায়, দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষা পায় সে ব্যাপারেও প্রচার করা হয় এই দিনটিকে উপলক্ষ করে। পাশাপাশি শিশুদের সঠিক পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরা হয়, কেননা শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ ।

    রাষ্ট্রসংঘ ১৯৫৪ সালের ২০ নভেম্বর দিনটিকে শিশু দিবস হিসাবে পালনের জন্যে ঘোষণা করেছিল । সেই ঘোষণা অনুযায়ী এ দেশেও পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ২০ নভেম্বর দিনটিই শিশু দিবস হিসাবে পালিত হয়ে ছিল। তবে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর প্রয়াণের পর সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর, শিশুদের প্রিয় চাচা নেহেরুর জন্মদিনটিকেই শিশু দিবস হিসাবে উদযাপন করা হবে ভারতে। তারপর থেকেই প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর দিনটি শিশু দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

    এ আন্তর্জাতিক শিশু দিবস হিসাবে ২০ নভেম্বর দিনটিই পালিত হয়। ১৯৫৯ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শিশুদের অধিকার নিয়ে প্রচারের কথা বলে এই দিনটি পালনের কথা ঘোষণা করে। জীবনের অধিকার, সুরক্ষার অধিকার, অংশগ্রহণের অধিকার এবং বিকাশের অধিকার – শিশু অধিকারকে চারটি মূল ভাগে বিভক্ত করা হয়। তবে, ভারতের মতো এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে ২০ নভেম্বরের পরিবর্তে শিশু দিবস অন্য দিনে পালিত হয়।
    অনেক দেশে, ১ জুন, শিশু দিবস হিসাবে পালন করা হয়। পাশাপাশি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের জুনের দ্বিতীয় রবিবার পালন করা হয় শিশু দিবস। আবার পাকিস্তানে শিশু দিবস হল ১ জুলাই, ৪ এপ্রিল শিশু দিবস উদযাপিত হয় চিনে। অন্যদিকে ব্রিটেনে শিশু দিবস পালন করা হয় ৩০ অগাস্ট, জাপানে ৫ মে, পশ্চিম জার্মানিতে ২০ সেপ্টেম্বর । তবে সব দেশেই শিশু দিবস পালেন উদ্দেশ্য একটাই, দেশের শিশুদের অধিকার ও তাঁদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ফের একবার সচেতনতার বার্তা দেওয়া।

    তথ্য সংগ্রহ: মহ: নাজিম আক্তার