|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করাই হয়নি। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে বিলটি শাসক দল আনতে চেয়েছিল। বিলটি লোকসভায় পাস করা গেলেও বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতায় তা রাজ্যসভায় উত্থাপনই করাই যায়নি।
একইভাবে মুসলমান নারীদের বিয়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে তিন তালাক বন্ধ করতে প্রস্তাবিত বিলটিও রাজ্যসভায় বিবেচনার জন্য পেশ করা যায়নি। নাগরিকত্ব বিলের মতো এই বিলটিও লোকসভায় পাস করানো হয়েছিল। লোকসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিলটিও আইনে পরিণত করতে গেলে নতুন সরকারকে তা নতুনভাবে আনতে হবে।
নাগরিকত্ব বিলকে কেন্দ্র করে ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল অগ্নিগর্ভ হয়। সম্প্রতি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন রাজ্যে বিল-বিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার নেয়।
আসামসহ প্রতিটি রাজ্যে বিজেপির শরিকেরা এই বিলের বিরোধিতা করে। অনেকেই বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাতিল করেছে। বিলটি বাতিল হয়ে যাওয়ায় এখন প্রশ্ন, লোকসভার ভোটের আগে বিজেপির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শরিকেরা ফের জোটে ফিরে আসবে কি না। এই বিল নিয়ে বিরোধ শুরুর আগে বিজেপি মনে করছিল, শরিকদের সঙ্গে জোট বেঁধে এই এলাকার মোট ২৫টি লোকসভার আসনের মধ্যে অন্তত ২২টি তারা জিতে নেবে।
এদিকে ভারতের নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদ জানিয়েছিল হাজারিকা পরিবারও। ভারতের সমগ্র উত্তর পূর্বাঞ্চল জুড়ে চলতে থাকা বিক্ষোভের মাঝে কিছুদিন আগে প্রদত্ত ভারত রত্ন সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রয়াত কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার পরিবার।
হাজারিকাকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান মরণোত্তর প্রদান করে মোদী সরকার। ভূপেন হাজারিকার আমেরিকা-প্রবাসী পুত্র তেজ হাজারিকা জানিয়েছেন, তিনি তার প্রয়াত পিতার তরফে এই মরণোত্তর সম্মান গ্রহণ করবেন না। তিনি জানান, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রেক্ষাপটে আসামের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি ভারত রত্ন প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন