|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : নদিয়া জেলা প্রশাসন ও নদিয়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল ক্লিন গঙ্গা মিশন। এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে গঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করে তুলতে সাধারণ মানুষজনকে সচেতন করতে উদ্যোগী হল জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি নদীকে দূষণমুক্ত করা ছাড়াও বিশেষজ্ঞদের একটি দল সম্পূর্ণ গঙ্গা নদীতে দূষণের মাত্রা পর্যালোচনা করবেন।
মিশনটি শুরু হয় নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ ঘাট থেকে যা শেষ হবে শান্তিপুর গঙ্গার ঘাটে গিয়ে। পাশাপাশি ওই এলাকার সাধারণ মানুষজনকে গঙ্গাকে দূষণ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে এই দিন জানান কৃষ্ণনগর জেলা পরিষদের সচিব সৌমেন দত্ত। শান্তিপুর হয়ে তিন গঙ্গা মিশন অভিযানের কর্মসূচিটি রানাঘাটে গিয়ে পৌঁছবে। এরপর ফের শান্তিপুরে এসে অভিযানটি সমাপ্ত হবে বলেও এই দিন জানান সৌমেন বাবু।এছাড়াও এইদিন লঞ্চে করে স্বরুপগঞ্জ ঘাট থেকে কালনা ঘাটে যাওয়া হয়। এবং গঙ্গায় যেতে যেতে, গঙ্গার জল এবং গঙ্গার কিছু মাছ ও জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী স্যাম্পেল তোলা হয়। এরপর কালনা ঘাটে বিকেল চারটে নাগাদ সচেতনতামূলক কর্মসূচি হওয়ার পর ওখানেই রাত্রি বাস করা হবে জানান জেলা আধিকারিকেরা। এবং যাওয়া হবে লঞ্চে করেই রানাঘাটে। সেখান থেকে ফের লঞ্চ ফিরে আসবে স্বরুপগঞ্জ ঘাটে। কৃষ্ণনগর জেলা পরিষদের সচিব সৌমেন দত্ত ছাড়াও ওই দিন উপস্থিত ছিলেন জেলা নোডাল অফিসার স্যানিটেশন সুজয় সাধু।প্রসঙ্গত বর্ষাকালে জলাশয়ের অভাবে পাট চাষিরা বাধ্য হয়ে চূর্ণী ও জলঙ্গী নদীতে পাট পচাতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও বাংলাদেশের কলকারখানার কিছু বর্জ্য পদার্থ এসে মিশছে নদীর জলে৷ সেই কারণে একের পর এক জলঙ্গি ও চূর্ণী নদীর মাছ মরে ভেসে উঠছে এবং জল থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।