ক্লেফ্ট লিপ্ আর ক্লেফ্ট প্যালেট সার্জারিতে ভরসার স্থল হয়ে উঠেছে জিডি হাসপাতাল

ফারুক আহমেদ : পশ্চিমবাংলার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পতাকা শিল্পগোষ্ঠী ও জনাব মোস্তাক হোসেন একটি সুপরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ নাম। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় জিডি দুই দিকেই সমান তালে ভূমিকা রাখছে। স্বাস্থ্যসেবায় ভরসার স্থল হয়ে উঠেছে জিডি হাসপাতাল। কম খরচে উন্নত চিকিৎসার সুবিধা পেতে বাংলার গ্রামগঞ্জ ও শহরের মানুষ ভিড় জমান এখানে। ২০২১ সাল থেকে জিডি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াবেটিস ইনস্টিটিউট কলকাতা সহ পশ্চিমবাংলার অনেক শিশুর স্মাইল ট্রেন প্রকল্পের সহায়তায় ‘ক্লেফ্ট লিপ’ ও ‘ক্লেফ্ট প্যালেট’ অপারেশন করছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। ডা. এস. এ. ফয়জাল (প্লাস্টিক সার্জন)-এর নেতৃত্বে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে, যিনি প্রতি সপ্তাহে জিডি হাসপাতালে এই অপারেশন করেন। এখন পিতা-মাতারা যাঁদের বাচ্চাদের ‘ক্লেফ্ট লিপ’ এবং বয়স ৩ মাস ও তার অধিক অথবা যাঁদের বাচ্চাদের ‘ক্লেফ্ট প্যালেট’ আছে এবং বয়স ৯ মাস ও তার বেশি তাঁরা চিকিৎসার জন্যে জিডি হাসপাতালে আনতে পারেন অপারেশনের জন্যে। এখানে উন্নত অপারেশন থিয়েটারে আধুনিক পদ্ধতিতে অপারেশন করা হয়। জিডি হাসপাতালের সিইও মুশরেফা হোসেন সর্বদাই বিনয়ী হয়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন পিতা মোস্তাক হোসেনের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে। সঠিক স্বাস্থ্যসেবা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য হাসপাতালটি সক্রিয়ভাবে CSR কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতার লেনিন সরণিতে অবস্থিত জিডি হাসপাতাল এবং ডায়াবেটিস ইনস্টিটিউট হল ডায়াবেটিস গবেষণা এবং চিকিৎসার একটি নেতৃস্থানীয় হাসপাতাল। হাসপাতালটি ডায়াবেটিস ছাড়াও ১৫টিরও বেশি চিকিৎসা বিভাগে উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা প্রদান করে। যেমন কার্ডিওভাসকুলার সার্জারি, ইএনটি, চর্মরোগ, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, গাইনোকোলজি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার, নিউরো সার্জারি ইত্যাদি। হাসপাতালের সিইও মুশরেফা হোসেন জানান, মানসম্পন্ন চিকিৎসা প্রদানের জন্য হাসপাতালে মোট ১৫০টি শয্যা রয়েছে। হাসপাতালে বিখ্যাত ডাক্তার এবং চিকিৎসকদের নির্দেশনায় ২৯টি বিভাগে চিকিৎসা প্রদান করা হয় রয়েছে বিশেষ ডায়াবেটিস কেয়ার কর্নার। যেহেতু ডায়াবেটিস মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। জিডি হাসপাতাল শুধুমাত্র ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি বিশেষ কেয়ার ইউনিট গড়ে তুলেছে। মুশরেফা হোসেন আরও জানান, ৩টি আধুনিক অপারেশন থিয়েটার রয়েছে এখানে। সমস্ত অপারেশন থিয়েটার সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সজ্জিত। ১৪-শয্যা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ডিজাইন করা ICU রয়েছে। সমস্ত ICU অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং নার্স দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়। ২৪ ঘণ্টা ফার্মেসি খোলা থাকে। ফার্মেসি অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে হাসপাতালের ডাক্তারদের দ্বারা নির্ধারিত যেকোনও ওষুধ সরবরাহ করে। রোগীরা যখনই প্রয়োজন তখন ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে কল এবং ই-মেল করতে পারেন। আন্তর্জাতিক রোগীরা, যেমন বাংলাদেশের কেউ কি জিডি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে সিইও মুশরেফা বলেন, হ্যাঁ, সমস্ত আন্তর্জাতিক, বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের জন্য আলাদা ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক রয়েছে যেখান থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রদান করে সম্পূর্ণ চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়।