রাজ্যে কোভিড বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ল ৩০ আগস্ট পর্যন্ত, লোকাল ট্রেন এখনই চালু হচ্ছে না জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কোভিড বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ল ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। আগের ঘোষণা অনুযায়ী, যে যে ক্ষেত্রে ছাড় ছিল তাই থাকছে। লোকাল ট্রেন এখনই চালু হচ্ছে না। লোকাল ট্রেন কেন চালু করা হচ্ছে না, অনেকেই এই প্রশ্ন তুলছেন। এদিন সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    নবান্নে তিনি জানালেন, “অনেকেই বলছেন লোকাল ট্রেন কেন চালু করা হচ্ছে না। জানি, অনেকেরই কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু টিকাকরণ আরও একটু সম্পন্ন হলে তবেই ট্রেন চালানোর ঝুঁকি নিতে পারবে সরকার। গ্রামে-গঞ্জে টিকাকরণের গতি বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। ৮০ শতাংশ সম্পূর্ণ হলে ট্রেন চালানোর অনুমতি দিতে পারে সরকার।” মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আরও ১৫ দিন বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন। ৩১ আগস্টের পর থেকে লোকাল চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, অনেকেই কোভিড বিধিনিষেধ একটু শিথিল করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তাঁদের কথা মেনে, সকাল ১১টি থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল বা বন্ধ থাকবে। যাতে মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়। ব্যবসায়ীদেরও কোনও অসুবিধা হবে না বলে মনে করছেন মমতা।

    এদিকে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে অভাব-অভিযোগ থাকলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে খবর দিয়ে জানানো যাবে। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবারেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সাধারণ মানুষের সুরাহার সমাধানের উপায় বাতলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান মমতা। কোনওরকম টাকা-পয়সা লাগবে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্মের জন্য। এমনকী অন্য কোনও রকম অভাব-অভিযোগ থাকলেও তা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে জানানো যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মমতা। ১০৭০/২২১৪-৩৫২৬ টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে জানানো যাবে অভিযোগ। ভাইফোঁটার দিন থেকে রাজ্যে চালু হবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প।

    মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, আগামী ১৬ আগস্ট থেকে রাজ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে। আপাতত বন্যা দুর্গত এলাকায় বসছে না ক্যাম্প। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফের বসবে শিবির। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য শিবিরে থাকবে আলাদা কাউন্টার। ফর্ম ফিলাপেও থাকছে বিশেষ নিয়ম।

    কোনও রকম জালিয়াতি রুখতে প্রকল্পের আবেদন ফর্মে থাকছে ইউনিক নম্বর। সেই নম্বর সরকারের কাছে নথিভুক্ত থাকবে। নম্বর ছাড়া ফর্ম গৃহীত হবে না। বাইরে থেকেও ফর্ম কেনা যাবে না। টাকার বিনিময়ে ফর্ম নিয়ে জালিয়াতি রুখতে এই পদক্ষেপ সরকারের। এছাড়াও স্বাস্থ্যসাথী-কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ফর্মেও থাকবে ইউনিক নম্বর।