মুকুল রায়ের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভালো চিকিৎসার পরামর্শ দিলেন

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: মুকুল রায়ের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, পাশে আছেন এই বরাভয় দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “খুব ভালো ভাবে চিকিৎসা করাও, মুকুলকে আমার দরকার।” এটুকু মন্তব্য়েই পরিষ্কার স্বাস্থ্যজনিত কারণে মুকুল রায়ের বেফাঁস কথায় নেটদুনিয়ায় যতই কথাচালাচালি হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘকালের সহকর্মী মুকুল রায়ের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন।  মুকুল রায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন তিনি মনেপ্রাণে।

    কয়েক দিন আগের কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়ের দলে ফেরার সময়েই প্রকাশ্য বলেছিলেন তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ মহলের মত, দিয় কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মুকুল রায়কে দিল্লি এইমস-এ চিকিৎসা করানোর পরামর্শও দেন। কিন্তু রাজনীতির টানাপোড়েন, পত্নীবিয়োগ-ঘটনাপ্রবাহে ধস্ত মুকুল রায় সেই উদ্যোগ আর নিয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর অসংলগ্ন মন্তব্যই বুঝিয়ে দিয়েছে, মুকুল রায়ের চিকিৎসা একান্তই প্রয়োজন। গোটা পর্বটা যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তা সুনিশ্চিত করতে চাইছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। স্থির হয়েছে বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালেই চিকিৎসা করাবেন মুকুল রায়।

    উল্লেখ্য আজই মুকুল রায়ের এমআরআই-এর রিপোর্ট এসেছে। সূত্রের খবর, দেখা গিয়েছে মস্তিষ্কে ফ্লুইড রয়েছে। তবে পরিবার সূত্রে খবর, এখনও বিষয়টা চিকিৎসাযোগ্য জায়গায় রয়েছে। আর তাই এখনই সময় নষ্ট না করে তৎপর হতে চাইছে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠজনরা।

    যাকে নিয়ে এত জল্পনা, তৃণমূলের চাণক্য মুকুল রায় আজ খুব অল্পসময়ের জন্য বিধানসভা গিয়েছিলেন। ফিনান্স কমিটির মিটিং উপলক্ষ্য়ে বিধানসভায় গিয়ে সইসাবুদ করে কিছুক্ষণ পরেই বেরিয়ে পড়েন মুকুল। ফের মুকুলের বিধারসভা যাওযার কথা ১৩ অগাস্ট। ওই দিন পিএসি-র দ্বিতীয় মিটিং রয়েছে। পিএসি-র প্রথম মিটিংয়ে মুকুল যাননি। পিএসসি-তরজার মধ্যেই দ্বিতীয় মিটিংয়ে তিনি অংশ নেন কিনা তা দেখতে আগ্রহী রাজনীতিপ্রেমীরা।

    অবশ্য তার ঠিক আগের দিন ১২ অগাস্ট মুকুল রায়কে পিএসসি চেয়ারম্যান পদে বসানোর ব্যাপারে স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে, হাইকোর্টে তার শুনানি হবে। স্পিকারের হয়ে এই মামলায় সওয়াল করছেন কিশোর দত্ত। আজ তিনি আদালতে জানান এ বিষয়ে তার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা জানানোর আছে। তাই হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য তিনি আদালতের কাছ থেকে দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে নেন।