|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: সোমবার বিকেলে হঠাৎই ভবানীপুরে প্রচারে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মমতা অভিষেকের সঙ্গে এদিন ভবানীপুরে দেখা গেল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকেও। এদিন স্থানীয় মন্দিরে যান মমতা। কথা বলেন এলাকার মানুষের সঙ্গে।
সূত্রের খবর এদিন আচমকাই নবান্ন থেকে প্রশান্ত কিশোর-সহ মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছন ভবানীপুরে। সোমবার নবান্ন থেকে বাবুল সুপ্রিয় বেরিয়ে যাওয়ার পরই তিনজনের মধ্যে বেশকিছুক্ষণ কথাবার্তা চলে বলে সূত্রের খবর। তবে কী নিয়ে বৈঠক তা এখনও স্পষ্ট নয়। এরপরেই নবান্ন থেকে ভবানীপুরের শীতলা মন্দিরে যান তৃণমূলনেত্রী। সেখানেও তাঁর সঙ্গে ছিলেন পিকে এবং অভিষেক। শীতলা মন্দিরে এদিন সন্ধ্যারতি চলাকালীন সেখানে সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন দুপুরে নবান্নে এসেছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। মমতা, অভিষেক এবং ডেরেক ও ব্রায়েনের সঙ্গে বৈঠক করেন আসানসোলের সাংসদ। তার পর ডেরেককে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। সূত্রের খবর, এর পরই পিকে এবং অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলার পাশাপাশি একাধিক রাজ্যে সংগঠন বাড়াচ্ছে তৃণমূল। আর সেই দায়িত্ব অভিষেকের কাঁধে তুলে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সংগঠন বৃদ্ধি নিয়ে পিকের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করতে দেখা গিয়েছে অভিষেককে। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অভিষেক দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে।
দিল্লিতে দীর্ঘ জেরার পর ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছিলেন, দেশের যে সমস্ত জায়গায় বিজেপি রয়েছে, সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস যাবে এবং ২০২৪ সালে বিজেপিকে হারাবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই পিকের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ বৈঠক বাড়িয়েছিল রাজনৈতিক জল্পনা।
ইতিমধ্যেই বাংলার গণ্ডি পার করে ত্রিপুরা ও অসমের মতো রাজ্যে তৃণমূল শক্তি সঞ্চয় করে জমি শক্ত করতে সচেষ্ট। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে উৎখাত করাই যে তৃণমূলের পাখির চোখ, সেই বার্তাও ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যে উপনির্বাচন। এই পরিস্থিতে এই পরিস্থিতিতে বাংলায় আজ ফের পিকের আগমন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।