ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী তৃণমূলনেত্রী। ৫৮,৮৩৫ ভোটে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে দ্বিতীয় হয়েছেন বিজেপির প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তৃতীয় সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস।

    ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিগুণ ব্যবধানে জয়। ২০১১-র উপনির্বাচনের জয়ের ব্যবধানকেও ছাপিয়ে গেলেন মমতা। ২০১১-র উপনির্বাচনে তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ৫৪ হাজার ২১৩।

    আজ সকালে শাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে পোস্টাল ব্যালট গণনার পর ইভিএম গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে যান মমতা। মোট ২১ রাউন্ড গণনার প্রতিটি ধাপেই লিড বাড়িয়ে নেন তিনি। ভবানীপুরে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মার্জিনও টপকে যান। এমনকী, গত বিধানসভা ভোটে যে দুটি ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল, সেই ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড এবার লিড দিয়েছে মমতাকে। ভবানীপুরের ৭টি ওয়ার্ডেই জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ভোটের ট্রেন্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের আভাস পাওয়ার পরই, কালীঘাটে শুরু হয়ে যায় আবির খেলা। নাচে, গানে, শাঁখ বাজিয়ে, জয়ের সেলিব্রেশন করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে উৎসবে সামিল হন মদন মিত্রও। তিনি বিজেপি-কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ভবানীপুর টু কামারহাটি, ওয়েস্টবেঙ্গল টু দেশের মাটি। লক্ষ্য এবার দিল্লির মাটি। মমতা যাবে, মোদির নাক কেটে দিয়ে যাবে।

    কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও হয় বিজয় উল্লাস। বাজি ফাটিয়ে, জয় উদযাপন করেন তৃণমূল কর্মীরা। আর, ঠিক সেই সময়ই শুনশান বিজেপির মুরলীধর সেন লেন ও হেস্টিংসের পার্টি অফিস। দেখা নেই নেতা-কর্মীদের।

    ভবানীপুরে এবার প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। লড়াই ছিল ত্রিমুখী। বিধানসভা ভোটের তুলনায়, উপনির্বাচনে বাড়ল তৃণমূলের জয়ের ব্যবধান। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন ২৮ হাজার ৯১৭ ভোটে। আর, উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতলেন ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে। কমেছে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যাও।

    নিয়ম অনুযায়ী, বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। ৫ নভেম্বর শেষ হচ্ছে সেই সময়সীমা। এই অবস্থায় ইস্তফা দেন ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি খড়দা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় ভবানীপুরে প্রার্থী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।