|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :মধ্যযুগীয় বর্বরতা । তাও কম বলা হবে। কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়ে নৃশংস ভাবে মারধোর করা হলো যুবককে। মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার বাড়ির লোকজন ও গ্রামের মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। সেই মারধোরের ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় । ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে প্রচুর মানুষ জমায়েত। সেই সঙ্গে দিতে হবে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা! কিন্তু তাতেও রেহাই নেই। মোটা দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে বাঁধা হাত-পা। মাথা ফেটে ঝরছে রক্ত। কিন্তু তার উপরই চলছে এলোপাথাড়ি মারধর। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসছে না উদ্ধারে! বেধড়ক মারধরের সেই ভিডিয়ো এখন ভাইরাল। সবার মোবাইলেই ঘুরছে। কিন্তু কেন এমনভাবে মারধর করা হচ্ছে ওই শিক্ষককে?
এমন পৈচাশিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ২-নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামে।
জানা গেছে, কেশপুর থানার নেড়াদেউল সংলগ্ন গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে চন্দ্রকোণা ২-নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই যুবক পেশায় শিক্ষক ও বিবাহিত। ওই যুবক শ্রীরামপুর গ্রামে প্রেমিকা কলেজছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসলে, তখনই শিক্ষককে ধরে ফেলেন ছাত্রীর বাড়ির লোকেরা। তারপরই চলে বেধড়ক মারধর। এই ঘটনায় সালিশি সভাও বসে। সালিশি সভায় নিদান দেওয়া হয় যে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু তারপরেও মারের হাত থেকে রেহাই মেলেনি। মারধরের ফলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতা পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।