হস্টেলের ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে খুন করা হয়েছে কলেজ ছাত্রকে!

নিজস্ব সংবাদদাতা: হস্টেলের ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে খুন করা হয়েছে কলেজ ছাত্রকে! ওই ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের দাবি তেমনটাই। মৃত সৌমেন মুর্মুর বাবার দাবি, প্রতিহিংসার বশেই কেউ তাঁর ছেলেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে।

     

    হস্টেলে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সৌমেন। কিছুক্ষণ পরই উদ্ধার হয় তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ধমানে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    কী কারণে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেলের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। খুন না আত্মহত্যা- ঠিক কী কারণে মৃত্যু হল তাঁর, তা ময়না তদন্তের রিপোর্টেই নিশ্চিতভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।বর্ধমানের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত ছাত্রের নাম সৌমেন মুর্মু (২০)। তিনি ওই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। হস্টেলের নীচে তাঁকে অচৈতন্য ও রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। হস্টেলের আবাসিকরাই প্রথম তা দেখে। বর্ধমান থানার পুলিশ তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই হস্টেলের প্রাক্তন আবাসিক ছিলেন সৌমেন মুর্মু। শুক্রবার সকালেই তিনি হস্টেলে আসেন। আসার কিছুক্ষণ পরই তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় হস্টেলের নীচে পরে থাকতে দেখা যায়। তাঁর মাথায় ও চোখে রুমাল জড়ানো ছিলো বলে জানিয়েছেন হস্টেলের আবাসিক ও স্থানীয়রা।

     

    মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী? তা নিয়েই শুরু হয়েছে নানান জল্পনা। অনেকের অনুমান হস্টেলের ছাদে উঠে আত্মহত্যার জন্য নিচে ঝাঁপ দেয় ওই আবাস প্রাক্তন আবাসিক। ওই যুবক সত্যিই আত্মঘাতী হলো নাকি এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    হস্টেলের আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেমারি থানার পাল্লা রোডের বাসিন্দা দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্র সকালেই দোতলায় থাকা আবাসিক বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। তাঁদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তাও বলেন তিনি। এরপর আর তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়নি।কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে হস্টেলে নিচে রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি নিজেই মাথায় ও চোখে রুমাল জড়িয়েছিলেন, নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।