ঝাড়গ্ৰামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির উদ্যোগে খেজুরীতে কমিউনিটি কিচেন পরিষেবা

নিজস্ব সংবাদদাতা, খেজুরী, পূর্ব মেদিনীপুর:  ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরী এলাকার বিপন্ন মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এলো জঙ্গলমহল এলাকার বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।ইয়াস ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকা খেজুরীর বহু গ্রাম। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে খেজুরী-২ নং ব্লকের নিজকশবা ও খেজুরী গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকা দু’টি। সোমবার ক্ষতিগ্ৰস্ত এই দুটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায় দু-দু’টি কমিউনিটি কিচেন পরিষেবা একই দিনে চালু হলো ঝাড়গ্ৰাম জেলা কেন্দ্রীক কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে। ঝাড়গ্ৰামের ‘ মানবতা ফাউন্ডেশন ‘, ‘ মেঘ বিতান ফাউন্ডেশন ‘ , ‘ইচ্ছেশক্তি ‘ এবং “আমারকার ভাষা আমারকার গর্ব ‘ সংস্থার সহায়তায় খেজুরী বন্দর সৎসঙ্গ আশ্রম ও পশ্চিম পাঁচুড়িয়াতে দু’টি কমিউনিটি কিচেন পরিষেবা চালু হলো। কলকাতার স্বপ্নের সাথী’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্যবস্থাপনায় এই কমিউনিটি কিচেন পরিষেবা চালু হলো। স্বপ্নের সাথী’র পক্ষে সুদর্শন সেন ও অভিনন্দন প্রধান জানান, ইতিমধ্যে তাঁরা দক্ষিন ২৪ পরগনায় ইয়াস ঝড়ে ক্ষতিগ্ৰস্থ এলাকার দুটি জায়গায় কমিউনিটি কিচেন পরিষেবার কাজ চালু করেছেন। ঝাড়গ্ৰামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বচ্চন গিরি, বিশ্বনাথ রায়, বিশ্বজিৎ পাল ,দীপক মাহাতো, সওকত আলি সা,বাণেশ্বর হালদার, সমীর রাউৎ প্রমুখ।

    ঝাড়গ্রামের সংগঠন গুলির পক্ষে জানানো হয়, ইয়াসে বিধ্বস্ত খেজুরীর দুটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার দুটি জায়গায় বানভাসী বিপন্ন পরিবার গুলির জন্য তাঁরা প্রাথমিকভাবে আগামী ১২ দিনের কমিউনিটি কিচেন পরিষেবা চালু করলেন। প্রয়োজনে তাঁরা সাধ্যমতো আগামীদিনেও এই পরিষেবা আরও বেশি দিন চালানোর চেষ্টা করবেন। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে এই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সহযোগী বন্ধুদের সহায়তায় প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু ত্রাণ বিতরণ করেছিলেন ঝাড়গ্রামের সংস্থা গুলি।