সরকারি পরিচয়পত্রের জন্য হস্তশিল্পীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়

নিজস্ব সংবাদদাতা: সরকারি পরিচয়পত্রের জন্য হস্তশিল্পীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় (Deganga)। তৃণমূলের পার্টি অফিস (TMC Party Office) থেকেই টাকার বিনিময়ে কার্ড দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ শিল্পীদের। ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে।

    হস্তশিল্পীদের রাজ্য সরকারি পরিচয়পত্র বিতরণ নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। অভিযোগ, তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে সরকারি কর্মী পরিচয় দিয়ে পরিচয়পত্র বিলি করছিলেন কয়েকজন। তার জন্য হস্তশিল্পীদের থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল। যদিও রাজ্য সরকার বিনামূল্যে জেলা পরিষদের মাধ্যমে এই পরিচয়পত্র শিল্পীদের দেয়। শরিফন বিবি নামে এক হস্তশিল্পীর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে কার্ড দেওয়া হচ্ছিল।

    সরকারি পরিচয়পত্র কেনই বা তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে বিতরণ করা হচ্ছিল ? এনিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বারাসাত বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, তৃণমূলের পার্টি অফিস সরকারি কার্ড বিতরণ করছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতার মদতে। টেট, এসএসসি দুর্নীতিতে রাজ্য তোলপাড় আর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোতে দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের নেতারা।

    এপ্রসঙ্গে কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা তৃণমূল নেতা অজয় বৈদ্য বলেন, এই ধরনের ঘটনা জানি না, যারা কার্ড বিতরণ করছিলেন তাঁরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেউ নন।

     

    এই পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মী পরিচয়ে কারা কার্ড বিলি করলেন ? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

    দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা তুষারকান্তি দাস বলেন, শিল্পীদের জন্য রাজ্য সরকার বিনামূল্যে পরিচয়পত্র দিয়েছে। তৃণমূলের পার্টি অফিসে কে বা কারা টাকার বিনিময়ে এই পরিচয়পত্র বিতরণ করেছে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ।

     

    হস্তশিল্পীদের সরকারি পরিচয়পত্র বিতরণে বেনিয়মের অভিযোগ ঘিরে তরজা তুঙ্গে উঠলেও, পুলিশ সূত্রে খবর, এনিয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।

    এদিকে ফের এক সাংসদের তহবিলের টাকা ফেরানোর অভিযোগ তৃণমূল (TMC) পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে! কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি সাংসদকে এলাকায় দেখা যায় না বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় জাহাজপ্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা কাজে লাগাতে চাইছে না তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে টাকা দিয়ে আমি কাজ করাতে পারিনি বনগাঁয়। কেন পারিনি, শুধু পঞ্চায়েত আমার নয় তাই। আর কোনও কারণ নেই। সাংবিধানিক দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়, একজন সাংসদ তাঁর লোকসভায় কাজ করবে, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। সেখানে পঞ্চায়েত সেই টাকাটা আটকে দিল। কার লাভ হল ? লাভ হল টিএমসি-র। কেন লাভ হল ? সাংসদ কাজ করাচ্ছে না, টাকা দিচ্ছে না। কিন্তু আমার কাছে তো টাকা আছে। ডিএম-এর কাছে যে স্লিপ পৌঁছেছে কাজের, কাজের যে তালিকা আছে, তাও আমার কাছে আছে। কোথা থেকে রিটার্ন হয়ে ফিরে এসেছে, জেলাশাসক অনুমোদন দিয়েছেন, সব আমি সময়মতো শো করব। এতে পার পাবে না পঞ্চায়েত।