জঙ্গিপুর পৌরসভায় একাধিক দাবি নিয়ে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি প্রদান কংগ্রেসের

আব্দুস সামাদ, জঙ্গিপুর: রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বর ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জঙ্গিপুর পৌরসভায় ভাগার, পানিও জল,রাস্তা ঘাট সহ্ একাধিক দাবি নিয়ে ডেপুটেশন,ও স্মারকলিপি প্রদান জঙ্গিপুর পৌরসভায়।

    দীর্ঘদিনের সমস্যা জঙ্গিপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত ভাগার নামে পরিচিত জঙ্গিপুর পৌরবাসীর আবর্জনা,স্তূপ ফেলার জায়গা। বর্তমানে ব্যাক্তিগত মালিকাধীন বলেই অভিযোগ জাতীয় কংগ্রেসের। এই দিনের ডেপুটেশন থেকে জাতীয় কংগ্রেসের মহকুমা সভাপতি হাসানুজ্জামান বাপ্পা বলেন এই আবর্জনা স্তূপ ফেলার জায়গা ভাগার বর্তমানে ব্যাক্তি মালিকানাধীন অবস্থায় jcb,বুলডোজার, চলছে,এমনকি ভাগাড়ের পূর্বদিকে প্রাচীর তুলার কাজ ও চলছে রমরমিয়ে। এমত অবস্থায় পৌরসভার নবনিযুক্ত পৌর প্রধানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে জঙ্গিপুর পৌরসভার অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং অবিলম্বে আইনের দ্বারস্থ হওয়া দরকার। এছাড়াও আজকের এই ডেপুটেশন থেকে জানান ভাগার জঙ্গিপুর পৌর নাগরিকের সম্পত্তি। ব্যাক্তি গত বেআইনি হস্তক্ষেপ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এছাড়া স্মারকলিপির মাধ্যমে আরও একাধিক জঙ্গিপুর পৌরসভার সমস্যার কথা তুলে ধরেন,যেমন গরমের শুরুতেই শহরজুড়ে পানীয় জলের ব্যাপকহারে সমস্যা চারিদিকে পানিও জল নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে হাহাকারের চিত্র ফুটে উঠেছে। যদিও পানীয় জলের সমস্যা সমাধান করতে জঙ্গিপুর পৌরসভা বরাবরই ব্যর্থ হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন এই দিনের ডেপুটেশন থেকে। এছাড়াও বলেন শহরের যত্রতত্র পুকুর ভরাটের কাজ চলছে বেআইনি ভাবে যা বর্ষার সামান্য জলেই জঙ্গিপুর শহর বাশি জলভাসি হচ্ছে অবিলম্বে পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ সহ্ করা ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পৌরসভার। এছাড়া জঙ্গিপুর শহরের রাস্তা ঘাট ভগ্ন প্রায় জার কারণে যানজট প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন এই সমস্ত দাবি যদি দ্রুততার সহিত না পালন করা হয় তবে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন।আজকের এই ডেপুটেশনে উপস্থিত ছিলেন জঙ্গিপুর মহাকুমা জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি হাসানুজ্জামান বাপ্পা, জঙ্গিপুর পৌরসভার কাউন্সিলর জুম্মান খান, পলাশ সাহা মীর কাসিম সহ আরো একাধিক জাতীয় কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থক বৃন্দ।

    ডেপুটেশনের প্রতিউত্তরে জঙ্গিপুর পৌরসভার নবনিযুক্ত পৌর পিতা মফিজুল ইসলাম বলেন জঙ্গিপুর পৌরসভার ভাগাড় নিয়ে যে সমস্যা চলছে তা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তিনি এছাড়াও পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে বলেন এ সমস্যার সমাধান করতে প্রায় এক বছর মত সময় লাগবে। এছাড়া রাস্তা ঘাটের কিছু কাজ বাকি রয়েছে জলের পাইপ লাইনের কাজ সুম্পূর্ণ ভাবে হয়ে গেলেই রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হবে।