|
---|
শরীফুল ইসলাম , শান্তিপুর :
রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক, শান্তিপুরের জনপ্রিয় বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কুৎসা ও তাঁকে রাজ্যবাসী ও দলের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার ঘৃন্য ষড়যন্ত্র’র পর্দা ফাঁস করে দিলেন কুমারেশ চক্রবর্তী নিজেই।
বিগত ১৩, ১২ ‘১৮ -ই বাঙলার এক অগ্রনী সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় কুমারেশ বাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে মাস ছয়েক পূর্বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শান্তিপুরে বিধায়কের নির্দেশে দলের টিকিট দেওয়া ও নির্বাচনে জয়ী হবার পর পদ বন্টন কে কেন্দ্র করে অর্থ আত্মসাতের একটি অভিযোগ প্রকাশিত হয় পত্রিকার সাংবাদিক সুস্মিত হালদার এর কলমে পত্রিকার রাজ্য পাতার পঞ্চম পৃষ্ঠায়– ” লাখ লাখ টাকায় প্রার্থী থেকে পদ, অভিযুক্ত বিধায়ক শিরোনামে ।” এর ফলে শান্তিপুর তথা রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষ ও রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় । অভিযোগকারী কুমারেশ বাবু ও সাংবাদিক সুস্মিত হালদারের লেখা এই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়া, ফেসবুক জুড়ে শান্তিপুর ও রাজ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ে। অরিন্দম ভট্টাচার্য দলের টিকিট ও নির্বাচনোত্তর পদ বন্টনের বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই ছিলেন প্রত্যয়ী এবং দৃঢ় । তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন , “শান্তিপুরের রাজনীতিতে দীর্ঘকাল ধরে যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত করেই স্থির করা হয়েছিল তাদের এবার পঞ্চায়েত এ কোন স্তরেই প্রার্থী করা হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে ভ্রষ্টাচার বিরোধী দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসনই হবে আমার একমাত্র লক্ষ্য। এবং আমি পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পদ বন্টনের ক্ষেত্রে তাই করেছি। কে , কি বললেন তাতে আমার কিছু যায় আসে না।। আমি দায়বদ্ধ আমার আদর্শ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি। যাঁর প্রেরণায় সাধারণ মানুষ কে সঙ্গে নিয়ে আমার পথ চলা।”
সংবাদ পত্রে অভিযোগ করে তা আবার ফিরিয়ে নিয়ে কুমারেশ বাবু অরিন্দম ভট্টাচার্য্যের প্রশ্নাতীত সততা , এবং কাজে ও কথায় তিনি যে একএবং অদ্বিতীয় তা দ্বিতীয় বার প্রমান করলেন দল ও শান্তিপুরবাসীর কাছে।
অরিন্দম বাবুর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই যে মিথ্যা এবং কয়েক জনের প্ররোচনার ফলশ্রুতি, তা স্বীকার করা ছাড়া কোনো পথ অবশ্য খোলাও ছিল না কুমারেশ চক্রবর্তীর কাছে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ শান্তিপুরের রাজনৈতিক মহল। কারণ বিধায়কের বিরুদ্ধে খবরটি আনন্দবাজারে প্রকাশের পর পরই সমস্ত অভিযোগের জবাব যুক্তি প্রমান দিয়ে খণ্ডন করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করে অরিন্দম বাবু চাপে ফেলে দেন এই বলে যে , , ” যাঁরা রাজ্য ও শান্তিপুরে নিজেদের কার্য্য কলাপে কোণঠাসা হয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কুৎসার রাজনীতি করতে চাইছেন , সুস্পষ্ট ভাবে তাদের চিহ্নিত করে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার ব্যক্তিগত মানহানীর মামলা করবো বলে আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি ।”
এছাড়াও, সৎ, উদ্যমী, প্রতিশ্রুতিমান বিধায়কের বিরুদ্ধে নোংরা অভিযোগের কথা প্রকাশ হতেই তাঁর নিজ এলাকা শান্তিপুরের সর্বস্তরে বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী মহল অরিন্দম ভট্টাচার্যের পক্ষ নিয়ে এগিয়ে আসেন ।
প্রত্যেকেই অরিন্দম বাবুর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আনন্দবাজারের সাংবাদিক সুস্মিত হালদার , কুমারেশ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে শুরু করে দেন টুইট ফেসবুক এবং লিখিত অভিযোগ।
ইতালির টিউরিন থেকে ল’ নিয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি, নেদারল্যান্ডস বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ল’ নিয়ে ডিগ্রি, ইউনাইটেড নেসনস এর মাসত্রিশ রিসার্চস্কলার্স, সৎ নির্ভীক আদর্শবান নিরহংকারী বিবেকবান উদ্যমী বিধায়ক , যে ব্যক্তি জীবনের উজ্জ্বল স্বপ্নময় আকর্ষণীয় ভবিষ্যৎ ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে নিজের জীবন সাধারণ মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে যারা প্ররোচনা দিয়ে তাঁকে লোকচক্ষে হেয় করার চক্রান্ত করছে তাদের ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করা উচিত বলে মনে করেন শান্তিপুরবাসী। একটি সূত্র দাবি করছে, বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য শান্তিপুরে বিধান সভা নির্বাচনে পদপ্রার্থী হবার পর থেকেই তরুণ সৎ অরিন্দমের শিক্ষা-দীক্ষা এবং আচার আচরণ নিয়ে অনেকেই তাঁর প্রতি ইর্ষান্বিত। এর পর ছ’বারের বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে বিপুলসংখ্যক ভোটে হারিয়ে তিনি অনেকের চক্ষুশূল হয়ে পড়েন। করিতকর্মা,সৎ-নির্ভীক অরিন্দম খুব অল্পসময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য হয়ে পড়লে সব আক্রোশ তাঁর উপর গিয়ে পড়ে। দিশাহীন হয়ে তাই অনেকে অরিন্দম ভট্টাচার্য বিরোধী একটি গোষ্ঠী তৈরি করে বিভিন্ন ভাবে প্ররোচনা সৃষ্টি করে অরিন্দম ভট্টাচার্য কে সাধারণ মানুষ ও দলে হেয় করতে চাইছেন।
কুমারেশ চক্রবর্তীর অরিন্দম বিরোধিতা যাদের মুখে চওড়া হাসি এনেছিল, সেই কুমারেশ বাবুর অরিন্দম বিরোধী ‘প্ররোচনার স্বীকারোক্তি তত্ত্ব ‘ এবং অরিন্দম এর প্রতি আস্থাজ্ঞাপন ও ভরসা স্থাপন তাদের কপালে চওড়া ভাঁজ ফেলবে শান্তিপুরি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।