|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার কয়েক মাস আগেই ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেসে(Mayurakshi Express) রূপান্তরিত হয়েছে। করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে এই ট্রেনটি পরিষেবা বন্ধ রাখার পর অন্যান্য ট্রেনের মতোই পরিষেবা শুরু করে। করোনাকালে প্রথমদিকে এই ট্রেনটির পরিষেবা শুরু হয় হাওড়া।রামপুরহাট(Howrah-Rampurhut) এবং রামপুরহাট হাওড়া স্পেশাল ট্রেন হিসাবে। পরে এই ট্রেনটির যাত্রাপথ বাড়িয়ে স্পেশাল ট্রেন(Special Train) হিসেবে রূপান্তরিত করা হয় গত বছরের অক্টোবর মাসে।এই ট্রেনটি বীরভূমের(Birbhum) রামপুরহাট, সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের কাছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড হিসাবে পরিগণীত হয়ে থাকে। সকালে এই ট্রেনে চড়ে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা এবং কাজ সেরে পুনরায় জেলার উদ্দেশ্যে ফিরে আসার জন্য এই ট্রেনের গুরুত্ব অপরিসীম। ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনের রূপান্তরিত হওয়ার পর এবার এই ট্রেনের যাত্রা পথ আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পূর্ব রেলের তরফ থেকে। আগামী ১৩ এপ্রিল থেকেই এই যাত্রাপথ বৃদ্ধি পাচ্ছে।ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে রূপান্তরিত হওয়ার পর ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে দুমকা(Dumka) পর্যন্ত যাতায়াত শুরু করে। আর এবার এই যাত্রাপথ বেড়ে হচ্ছে দেওঘর(Deoghar) পর্যন্ত। তবে যাত্রাপথ বৃদ্ধি পেলেও রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ আগের স্টেশনগুলির ক্ষেত্রে সময়সূচির কোন পরিবর্তন হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে রেল সূত্রে।প্রতিদিন এই ট্রেনটি দেওঘর থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে রাত ২টোয় এবং হাওড়া পৌঁছাবে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে। অন্যদিকে প্রতিদিন এই ট্রেনটি হাওড়া থেকে রওনা দেবে বিকেল ৪টে ২৫ মিনিটে এবং দেওঘর পৌঁছাবে রাত ১টা ৩৫ মিনিটে। গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রেনটির যাত্রাপথ বৃদ্ধি করার পরিপ্রেক্ষিতে ভ্রমণের দিক দিয়ে লক্ষ্য করলে বীরভূমের বাসিন্দারা অনেকটাই উপকৃত হবেন। তবে এর পাশাপাশি আবার বীরভূমের বাসিন্দাদের আশঙ্কা পর্যাপ্ত সিট নিয়ে। কারণ অনেকের দাবি, দেওঘর থেকে ট্রেনটি রওনা দিয়ে আসার কারণে বীরভূমের বিভিন্ন স্টেশনে(Station) উঠলে সিট নাও পাওয়া যেতে পারে।