কলকাতা ও দুই পরগনায় ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ রেখেই রাজ্যে সামান্য বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০০-র উপরেই সংক্রমণ, তবে সামান্য কমেছে দৈনিক মৃত্যু। একদিনে সংক্রমিত ৮৪৬ জন, মৃত ১২। সংক্রমণের হার বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার সামান্য কমে ২.১০%। একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৯২ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৩২%। ২২ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে মোট সংক্রমিত ১৫, ৮৪,৪৯২, মোট মৃত ১৯,০৩৩। রাজ্যে এখন সক্রিয় সংক্রমণ ৭৫৭৭।

    এদিকে, সংক্রমণের নিরিখে নবান্নের উদ্বেগের কারণ সেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। উৎসব পরবর্তী সময়ে শহরের সংক্রমণ ক্রমেই ঊর্ধ্বগামী। কলকাতায় একদিনে সংক্রমিত ২৪২, উত্তর ২৪ পরগনায় ১১৬। এরপরেই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি এবং হাওড়া।

    এদিকে, কলকাতায় করোনার দাপট বাড়ায় শহরের সব কোয়ারেন্টিন সেন্টার এবং দু’টি সেফ হোম খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে কলকাতা পুরনিগমের তরফে। পুর কত্রৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংরা চম্পা মনি মাতৃ সদন সেফ ও হরেকৃষ্ণ শেঠ লেন সেফ হোম খোলা হচ্ছে। এছাড়া তোপসিয়ার কোয়ারেন্টিন সেন্টারও চালুর করা হচ্ছে। তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই কথা বিবেচনা করে হরেকৃষ্ণ শেঠ লেন সেফ হোমটি শিশু ও মায়েদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় পুরনিগমের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

    কলকাতা পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ বলেছেন, ‘পুজোর জন্য বেশ কয়েকটি সেফ হোম বন্ধ ছিল। পুজো শেষে সেগুলিকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, অনেকেরই বাড়িতে থাকার অসুবিধা। ফলে পুরসভাও সেফ হোম, কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলিকে প্রস্তুত রাখছে। হঠাৎ যাতে চাপ না পড়ে তার জন্য এই উদ্যোগ।’

    অপরদিকে, মহামারী কিন্তু আদৌ মুখ ফিরিয়ে নেয় নি। আপনার  চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা এখনও পর্যন্ত করোনা গ্রাসেই জীবন ব্যয় করছেন। এমনকি মাইল্ড কেস নিয়েও অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন এদিক ওদিক। তার মধ্যেই পুজোয় বাঁধন ছাড়া আনন্দের পরে করোনা তৃতীয় ঢেউ নিশ্বাস ফেলছে মানবদেহের ওপর।

    যদিও বা নিয়ম অনুযায়ী দুটি ডোজের ব্যক্তিরাই পুজো প্যান্ডেলে প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেটি আদতে কতটা কার্যকরী হয়েছে এই নিয়ে বেজায় সন্দেহ। যথারীতি অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এবং যথারীতি পুজো পরবর্তী সময়ে দাড়িয়ে এমনকি দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকার পরেও মানুষের আর মন টিকছে না। ছোট খাটো ট্রিপ প্ল্যান করছেন অনেকেই। তবে হ্যাঁ! নিজের খেয়াল নিজেকেই রাখতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণ যেমন আপনার নিজের জন্য বাধ্যতামূলক সেরকমই আপনার বাড়িতে শিশু থাকলে তাকে অন্তত প্রথম ডোজ না দিয়ে বাইরে কোথাও যাবেন না।