মে মাসে ভারতে করোনা সংক্রমণে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হতে পারে ৫ হাজারের বেশি!

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সারা দেশে কোভিড অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা হতে পারে ৩৩ থেকে ৩৫ লক্ষ! অঙ্ক কষে কোভিড গ্রাফ তৈরি করে এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানপুর এবং হায়দরাবাদের আইআইটির বিজ্ঞানীরা। এক মার্কিন গবেষণা বলছে, মে মাসের মাঝামাঝি ভারতে করোনা সংক্রমণে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হতে পারে ৫ হাজার ৬০০ জনের! তার ফলে ১২ এপ্রিল থেকে ১ আগস্টের মধ্যে দেশে কোভিডে মৃত্যু হতে পারে আরও প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের। যার পরিণতিতে জুলাইয়ের শেষাশেষি দেশে কোভিড-মৃতের সংখ্যা হবে ৬ লক্ষ ৬৫ হাজারের কিছু বেশি। পরিসংখ্যানটাই মাত্রা ছাড়াবে মে মাসের মাঝামাঝি। দিনে ১০ লক্ষ অ্যাকটিভ রোগীর খোঁজ মিলবে। এই রিপোর্ট তৈরিতে কানপুর ও হায়দরাবাদ আইআইটির বিজ্ঞানীরা সাসেপ্টেবল, আনডিক্টেড, টেস্টেড (পজিটিভ) অ্যান্ড রিমুভড অ্যাপ্রোচ (সুত্রা) মডেল অনুসরণ করেছেন। এপ্রিল মাসের ২৫ থেকে ৩০ তারিখ দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং তেলঙ্গনায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। যেটা মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড় এখন দেখছে। আইআইটি কানপুরের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক মণীন্দ্ৰ আগরওয়াল জানান, মে মাসের ১১ থেকে ১৫ তারিখ ভারতের জন্য খুব খারাপ। সমীক্ষায় আক্রান্তের গ্রাফের রেখাও খাড়াভাবে সোজা উঠেছে। যেটা প্রমাণ করে, ভারত এখনও কোভিড ঝড় কাটিয়ে ওঠেনি। সামনে আরও খারাপ দিন আসছে।

    তবে আশার কথা একটাই, মে মাসের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে একেবারে উপরে থাকার পর কোভিড গ্রাফ নিচের দিকে নামবে। মে মাসের শেষে অনেকটা থিতিয়ে যাবে সংক্রমণ। শুক্রবার একদিনে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩২ হাজার মানুষ। মারা গিয়েছেন ২,২৬৩ জন। এই পরিসংখ্যানটাই মাত্রা ছাড়াবে মে মাসের মাঝামাঝি। দিনে ১০ লক্ষ অ্যাকটিভ রোগীর খোঁজ মিলবে। এই রিপোর্ট তৈরিতে কানপুর ও হায়দরাবাদ আইআইটির বিজ্ঞানীরা সাসেপ্টেবল, আনডিক্টেড, টেস্টেড (পজিটিভ) অ্যান্ড রিমুভড অ্যাপ্রোচ (সুত্রা) মডেল অনুসরণ করেছেন। এপ্রিল মাসের ২৫ থেকে ৩০ তারিখ দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং তেলঙ্গনায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। যেটা মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড় এখন দেখছে। আইআইটি কানপুরের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক মণীন্দ্ৰ আগরওয়াল জানান, মে মাসের ১১ থেকে ১৫ তারিখ ভারতের জন্য খুব খারাপ। সমীক্ষায় আক্রান্তের গ্রাফের রেখাও খাড়াভাবে সোজা উঠেছে। যেটা প্রমাণ করে, ভারত এখনও কোভিড ঝড় কাটিয়ে ওঠেনি। সামনে আরও খারাপ দিন আসছে।

    আমেরিকাকে ইতিমধ্যেই পিছনে ফেলে দৈনিক সংক্রমণে আতঙ্কের বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ভারত। পাশাপাশি এখনই দেখা যাচ্ছে, ফুটপাথে পড়ে থাকা রোগীর ভিড়ের লজ্জাজনক ছবি। ফলে অক্সিজেন, প্রতিষেধক এবং হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যার সরকারি আশ্বাস মিললেও দেশ জুড়ে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এর পাশাপাশি একটা শয্যার জন্য কোভিড আক্রান্তের পরিবারের কাকুতিমিনতি যেন গোটা দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বেআব্রু চিত্রেরই প্রতিফলন। এরপর মে মাসে ভারতের জন্য আরও কঠিন দিন অপেক্ষা করছে বলেই আশঙ্কাপ্রকাশ করছেন গবেষকরা। তাঁদের কথায়, উপসর্গহীনদের ধরে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করতে না পারা গেলে এই ছবি বদলাতে সময় নেবে না। আরও কঠিন দিন দেখবে ভারতবাসী।