করোনা ভাইরাসের গবেষককে খুন হতে হল কেন? তা নিয়ে তদন্তে মার্কিন সরকার নীরব!পুলিশি কভার?

সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় (সংবাদ সৌজন্যে বার্তা সাম্প্রতিকbartasamprotik.blogspot.com

    মার্কিন মুলুকে চৈনিক করোনা গবেষক খুন হলেন শনিবার। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে খুন হলেন তার আততায়ী নিজের গাড়ির মধ্যে।ঘটনাক্রমে দুজনেই চৈনিক।পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পুলিশ প্রকাশ করে নি। তার আগেই ঘটনার তাৎক্ষণিকতা কাটতে না কাটতেই গোয়েন্দা অফিসার জানিয়ে দিলেন বিষয়টা এমন না যে চিনা লোক বলে খুন করা হয়েছে।তারপর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হলো ইউনিভার্সিটিতে চাকুরী সংক্রান্ত কোনো সমস্যার জন্য এই খুন নয়।তাহলে কোন কিসের জন্য? মুখে কুলুপ এঁটেছে মার্কিন প্রশাসন।এত বড় একটা ঘটনা তবু এই নিয়ে কোন স্তরে মার্কিন প্রশাসনের কেউ কোন বিবৃতি দেন নি  l

    এদিকে তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়ার আগেই পুলিশ জানিয়ে দিল সংবাদমাধ্যমকে যে এই খুনের সঙ্গে দুনিয়াব্যাপী করনা মহামারীর কোন যোগ নেই। আর চার দিনের মাথায় পুলিশ জানালো, এটি কেবল মাত্র দুজনের সম্পর্কজনিত ঘটনা।

    এমন রহস্যজনক জোড়া খুনের পর প্রাথমিক সক্রিয়তা দেখানোর পর এখন অদ্ভুত উদাসীনতা মার্কিন মিডিয়াতে। প্রবল হইচইয়ের বদলে ধীরে ধীরে সবকিছুই ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে।

    পুলিশের এই বিবৃতির পর মার্কিন মিডিয়াও ক্রমশ খবর করা কমিয়ে দিল। প্রথমদিকে ঘনঘন কোন না কোন মিডিয়া রিপোর্ট করছিল তারপর সিএনএন করেছে। শেষেওয়াশিংটন পোস্ট মাত্র খবর করল চার লাইন।এত বড় উদাসীনতা কেন?একে কি বলে?.এত বড় সাংঘাতিক একটি খবরএমনি এমনিই হারিয়ে যেতে থাকল অন্য খবরের ভিড়ে !!কিন্তু কেউ খবরের পিছনে খবর টা খোঁজার চেষ্টা করল না।

    আমাদের প্রশ্ন

    ১ করোনাভাইরাস দিয়ে যে গবেষণা চলছে তার শেষ পর্যায়ে তিনি সাফল্যের মুখ দেখার আগেই এই ঘটনা ঘটেছে। তার সাফল্যের সঙ্গে সংঘাত কোথায় কোন পক্ষের? তিনি তো তাহলে এই মানব সভ্যতার শত্রু।তাকে আড়াল করবার জন্য কেন মার্কিন পুলিশ এবং মিডিয়ার একসঙ্গে জোড়া খুন থেকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে নিজেদের ফোকাস?

    ২ পিটসবার্গ ইউনিভার্সিটি দুঃখ প্রকাশ করে যে বিবৃতি দেয়, সেটি ছিল মূল রহস্য উদঘাটন এর প্রথম সূত্র। গবেষক করোনাভাইরাস গবেষণারত ছিলেন, এবং তিনি তার গবেষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পৌঁছে গেছিলেন। গবেষণার সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ার পর কোন গবেষক খুন হওয়া মানে গবেষণাটি কে থমকে দেওয়া।  কেন ?

    ৩ যদি সেখানে কোন আভ্যন্তরীণ গোলযোগ না থাকে তাহলে অবশ্যই  কোনো বড় শক্তির হস্তক্ষেপে ওই গবেষককে সরে যেতে হলো পৃথিবী থেকে? কোন শক্তির উপকার হচ্ছে গবেষকের খুনে?

    শুধুই একজন গবেষকের মৃত্যু এটা নয়। এটা খুন। এবং একটি মাত্র খুন নয়। যে খুন করল, সেও খুন হয়ে গেল।

    একটি গবেষককে খুন করবার জন্য যাকে নিয়োগ করা হয়েছিল তাকেও খুন করা হলো কিছুক্ষণের মধ্যে।

    তাহলে এই খুনের পিছনে যিনি অর্থ বিনিয়োগ করেছেন তার স্বার্থ কি?

    —- করোনা নিয়ে গবেষণায় প্রায় সমাপ্ত হয়ে যাওয়া গবেষণার সুফলটা আত্মস্থ করা?

    ৪  এই গবেষণা থেকে কি বেরিয়ে আসতে পারত অনেক গোপন সত্য। কিছু তাই ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই জোড়া খুনের ঘটে গেল রাতারাতি?

    অদ্ভুত ব্যাপার মার্কিন মিডিয়াতে  প্রথম সারির বড় বড় মিডিয়া খবরটিকে  প্রথম ধাক্কায় বেশ বড়8ভাবেই ধরেছিল, কিন্তু যত সময় যাচ্ছে ততই তারা সরে যাচ্ছে। খবরটা ক্রমশ ছোট্ট এবং প্রায় অন্যান্য জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এই বলে এটা দুজনের মধ্যে ব্যাক্তিগত সম্পর্কের অবনতির ফলে হওয়া খুন এবং আত্মহত্যা।

    কিন্তু তার জন্য কিন্তু কোন সম্পর্কটা কীভাবে খুব খারাপ হয়েছিল কতদনের সম্পর্ক

    কি কি কারণে এই সম্পর্কটা এই পর্যন্ত এইভাবে মোড় নিতে থাকে, তার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ কিন্তু কোন স্তরেই পুলিশ তদন্ত করে এখনো কিছু পায়নি।

    আমাদের প্রশ্ন তাহলে পুলিশ জানলো কি করে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতির জন্য দুজনের মধ্যে খুনখারাপি র মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো এবং তা থেকেই দুটি মানুষের এভাবে পরপর খুন হয়ে যাওয়া?

    একজন গবেষককে যেকোনো কারণে খুন হতে হয়না।

    আশ্চর্য ব্যাপার মার্কিন মিডিয়া ক্রমশ ব্যাপারটা থেকে সরে যাচ্ছে আর পুলিশ তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই নিজের মতো করে উত্তর দিয়ে যাচ্ছে যা যা মানুষ ভাবছে ভাবতে পারে সেই সব প্রশ্নের।

    কেন ? তার উত্তর কি পাওয়া যাবে আদৌ কখনো?