|
---|
নতুনগতি প্রতিবেদক,চাঁচল: ০৫ এপ্রিল
মালদা জেলার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার জন্য দুটি হাসপাতাল নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে একটি মালদা শহরের ইংলিশ বাজারের অপরটি চাঁচলের একটি বেসরকারি নার্সিং হোম (দিশারী নার্সিং হোম)। আর এতেই ক্ষোভে ফুঁসছে ওই নার্সিং হোমের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা।
ওই নার্সিং হোম যাতে করোনা হাসপাতালে পরিণত না হয় তাই তারা রবিবার বৃহত্তর আন্দোলনে নামেন। এদিন বিকেলে রায়পাড়া গ্রামবাসীরা নার্সিংহোমের সামনে রাজ্য সড়কে উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পাশাপাশি হাসপাতালের সামনে বোর্ড ফেস্টুন ভাঙচুর করেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
তবে স্থানীয়দের দাবি, চাঁচল দিশারী নার্সিং হোমে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা যাবে না।কারণ,এটি জনবহুল এলাকা, বহু মানুষ এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। এখানে যদি করোনা হাসপাতাল করা হয় তাহলে তার সংক্রমণ ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় আমরা এখানে করোনা হাসপাতাল হতে দেব না। মূলত দিশারী বাদ দিয়ে আরো অন্যান্য ফাঁকা জায়গা রয়েছে সেখানে করোনা হাসপাতাল করা হোক।
যতক্ষণ না এই দাদের মানা হচ্ছে ততদিন অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসাল হুঙ্কার দিয়েছেন বাসিন্দারা।
পরে চাঁচল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সজল কান্তি বিশ্বাসের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
ভাংচুরের ঘটনায় নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ পুলিশে অভিযোগ জানাবেন কিনা এবিষয়ে নার্সিং হোমের কর্মকর্তা মামুন রশীদ জানান, এ বিষয়ে তিনি একা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। নার্সিংহোমের পরিচালন সমিতি জরুরি বৈঠকে বসে আলোচনা করা হবে।