বীরাঙ্গনা “রুমা”র বাড়িতে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক কেম্পাহনাইয়ার

সেখ মহম্মদ ইমরান : ভারতে আইন করে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ ১৯২৯ সালে। শুধু নিষিদ্ধই নয়, দণ্ডনীয় অপরাধও। তারপরেও দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও এই বিয়ের চল রয়েছে। বিশেষত, উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, বিহার, ঝাড়খন্ড এমনকি পশ্চিমবঙ্গেও। এই প্রজন্মের বহু নাবালিকা শিক্ষার আলোয় সচেতন হয়ে অনেক বার বন্ধ করেছে সমাজের বুকে ঘটে চলা এই অভিশপ্ত ঘটনা। এমনই সাহসী প্রতিবাদ এবার ঘটল পশ্চিমবঙ্গে।
জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিষড়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী রুমা সিং এর গোপনে পাত্রস্ত করে বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চেয়েছিলেন তার পরিবার। তার পিতা বন্দি সিং অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে বছর তিনেক আগে মারা গেছে। নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন পরিবারে তার মা কিভাবে তিন সন্তানের পড়াশোনার খরচ চালাবেন সেই চিন্তা করে রুমা সিং এর বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রুমা সিং গোপনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিয়ে ভেঙে দেন। আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার দিবস উপলক্ষে সেই রুমাকে শনিবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বীরাঙ্গনা পুরস্কারে পুরষ্কৃত করা হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় “বীরাঙ্গনা” রুমার বাড়িতে উপস্থিত হন পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক কেম্পাহনাইয়া। সঙ্গে ছিলেন কেশপুর কলেজের ফ্যাকাল্টি সমাজকর্মী শান্তুনু পাণ্ডা। এদিন অতিরিক্ত জেলাশাসক কেম্পাহনাইয়া রুমাকে মিষ্টি মুখ করান এবং তাকে আশীর্বাদ করে তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

    এছাড়াও তিনি বলেন ‘রুমা আমাদের জেলার গর্ব। ওর সাহস, বিচক্ষণতা, বুদ্ধি ওকে এই স্তরে পৌঁছে দিয়েছে। আমরা চাই, সবাই রুমার মতো শিক্ষিতমনস্ক, বিচক্ষণ হোক।”