মালদায় করুনায় ও আমফানের ক্ষয়ক্ষতির কারণে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করল বাম সংগঠন

নতুন গতি নিউজডেস্ক: একদিকে করোনার জেরে লকডাউনে বিপর্য়স্ত চাষিরা। পাশাপাশি আমপান ঝড়ে বোরোধান, পাট, সব্জি, ভুট্টা, তুঁত, রেশম চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে এবার পথে নেমে আন্দোলন শুরু করল বামেদের কৃষক, খেতমজুর ও শ্রমিকদের সংগঠন। এদিন রাজ্যজুড়েই একযোগে আন্দোলন শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচলেও আন্দোলন হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের রশিদাবাদ, বরুই, মহেন্দ্রপুর, ভিঙ্গোল ও তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত ও চাঁচল-১ ব্লকের চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বুধবার দুপুরে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই ওই আন্দোলনে হাজির ছিলেন জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব। পরে তাদের দাবিদাওয়া প্রধানদের হাতে তুলে দেন নেতৃত্ব। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষোভের পর ওই দাবি পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীকেও বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে।
সংগঠনগুলি সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিপূরণ ছাড়াও একাধিক দাবিদাওয়া রয়েছে তাদের। চাষিদের ভর্তুকি দিয়ে সার, বীজ, ডিজেল সরবরাহ করা, গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করে চাষিদের কাছে থেকে সরকারি দামে ফসল কিনতে হবে। এছাড়া অবিলম্বে ১০০ দিনের কাজ চালু করা ও রেশনে গরিব মানুষদের মাথাপিছু ১৫ কিলোগ্রাম করে চাল, ডাল, তেল, আলু দেওয়ারও দাবি রয়েছে তাদের। পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে সমন্বয় করে ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা ও তাদের সাড়ে সাত হাজার টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও দাবি রয়েছে। সিটুর জেলা কার্যকরী সভাপতি মনওয়ারুল আলম বলেন, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই তিনদিন ধরে আন্দোলন চলবে। দাবি না মানা হলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।