কোভিডবিধির কারণে আমতলা উপ ডাকঘরে নাম নেওয়া বন্ধের নোটিশ, তবুও থেমে নেই আধার আপডেট

হামিম হোসেন মণ্ডল, ন‌ওদা : করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দিতেই আবার‌ও বিধিনিষেধ শুরু হয়েগেছে রাজ্যজুড়ে। নতুন করে জনগণের নাকে-মুখে মুখোশ (মাস্ক) পরাতে পথে নেমেছে মমতার পুলিশ। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে জমায়েত। তার প্রভাব পড়েছে আধার আপডেট কেন্দ্রগুলিতেও। মুর্শিদাবাদ জেলার আমতলা উপ ডাকঘরে নতুন সাব পোস্ট মাষ্টার যোগ দেওয়ার পর আধার আপডেটের জন্য ৭ জানুয়ারি নতুন নাম নেওয়ার নোটিশ টাঙানো হয় কিছুদিন আগে। বিধিনিষেধ ঘোষণা হ‌ওয়ার পর পুনরায় নোটিশ দিয়ে জানানো হয় ৭ জানুয়ারি আধার কার্ড সংশোধনের জন্য আর নাম নেওয়া হবে না। ওই নোটিশে উল্লেখ, ‘করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কারণে স্থানীয় প্রশাসনের আদেশ অনুসারে সেটা অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করা হলো।’ উল্লেখ, এর আগে ৫০০টা করে নাম নেওয়া হতো। আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব পোস্ট মাষ্টার শেষ নাম নিয়েছিলেন। তিনি কিছু কাজ করার পরে গত সেপ্টেম্বরে অন্যত্র চলে যান। অফিসের দায়িত্ব পান মিলন কোনাই। কিছুদিন যান্ত্রিক সমস্যার কারণে কাজ থেমে থাকলেও নতুন আধার কার্ড ও সংশোধন দুই-ই কিন্তু চলছে এই ডাকঘরে। ন‌ওদা থানা এলাকায় কেবলমাত্র এই উপ ডাকঘরেই আধার সংশোধনের কাজ হয়। ইউআইডিআই সাইটে ৭৪২১২১ পিন কোড দিয়ে লোকেট সার্চ করলে ৫ জানুয়ারিতে গত ৩০ দিনের হিসাবে দেখাচ্ছে ১৭১টি নতুন আধার এবং ৪২৭টি আধার সংশোধন হয়েছে এখানে। এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ ডিভিশনের পোস্টাল সুপার শৈবাল বাগচী ‘নতুন গতি’কে বললেন, ওখানে সাময়িকভাবে বন্ধ আছে হয়তো। ওখানে সাব পোস্ট মাষ্টারের সাথে যোগাযোগ করবেন। ওনারা যেভাবে কাজ করার করবেন।

    জিজ্ঞেস করা হলে আমতলা উপ ডাকঘরের দায়িত্বে থাকা সাব পোস্ট মাষ্টার মিলন কোনাই বৃহস্পতিবার ‘নতুন গতি’কে জানান, ‘৭ জানুয়ারি একসঙ্গে ৫০০ নাম লেখানোর কথা ছিল। কিন্তু, নওদা থানা একসঙ্গে এতো জমায়েত করতে নিষেধ করেছে। প্রতিদিন অল্প করে কিছু নাম লিখে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছে। সেই অনুযায়ী কোভিডবিধি মেনে প্রতিদিন কিছু নাম লেখানো হচ্ছে এবং তাদের দু’এক দিন পরে ডেকে নেওয়া হচ্ছে।’
    অন্যদিকে, এদিন এখানে চিঠি বুকিং বন্ধ ছিল। এই প্রসঙ্গে মিলন বাবু বলেন, ‘লিংক না থাকায় বুক হচ্ছে না।’ এদিকে যে সফ্ট‌ওয়ারে ডাকঘরে চিঠি বুকিং করা হয় সেই ‘পয়েন্ট অফ সেল’ সফ্ট‌ওয়ারটিতে চিঠি বুকিং করতে লিংক অর্থাৎ ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে না। ওটি একটি অফলাইন সফ্ট‌ওয়ার। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘লিংক না থাকলেও চিঠি বুকিং করা যায়, তবে ডেলিভারি করা যায় না। আবার লিংকের জন্য ডেটাবেস ক্রাস করলে পয়েন্ট অফ সেল খুলতে চায় না। তখন বুকিং‌ও হয় না। এমন সমস্যাই হয়েছে দুইদিন।’ ফলে তখন গুরুত্বপূর্ণ চিঠি বুকিং করতে এসে নিরাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে অনেককে।