শেষযাত্রায়  হুগলির  প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পালকে শ্রদ্ধা জানাতে এলেন সিপিএমের  রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম

নিজস্ব সংবাদদাতা : শেষযাত্রায়  হুগলির  প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পালকে শ্রদ্ধা জানাতে এলেন সিপিএমের  রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম  কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে  আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অশীতিপর সাংসদ। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের বার্তা, ‘এখনকার দাপাদাপি করা নেতাদের মতো ছিলেন না। সংসদে রূপচাঁদ পালের যে বক্তব্যগুলি রয়েছে সেগুলি পড়লে অনেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন।’মাসছয়েক ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন হুগলির প্রাক্তন সাংসদ। বাড়ি থেকেই চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সোমবার রাতে অসুস্থতা বাড়ে, শারীরিক অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে থাকে। স্নায়ুরোগেও আক্রান্ত হন। চিকিৎসার জন্য ভোর রাতে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু লড়াইটা জেতা হল না। সাড়ে এগারোটা নাগাদ মৃত্যু হয় রূপচাঁদ পালের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শ্রীরামপুরে দলীয় দফতরে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয়। সেখানেই প্রয়াত সাংসদকে শ্রদ্ধা জানান মহম্মদ সেলিম, শ্রীদীপ ভট্টাচার্য ও জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ। এসেছিলেন সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব। পরে তাঁর দেহ নিয়ে শ্রীরামপুর পার্টি অফিস থেকে শোক মিছিল করা হয়। সেখান থেকে ব্যান্ডেলের বিজয় মোদক ভবনে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সিপিআএম নেতা-কর্মীরা যাতে প্রয়াত সাংসদকে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা। পরে পিস ওয়ার্ল্ডে দেহ রাখার কথা। এর মধ্যেই তাঁর চক্ষু দান করা হয়েছে। এবার এসএসকেএম হাসপাতালে দেহ দান করা হবে। আগামিকাল সেই প্রক্রিয়া হওয়ার কথা। প্রয়াত সতীর্থকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘সংসদে তাঁকে সহকর্মী হিসেবে পেয়েছিলাম। এখনকার মতো দাপাদাপি করা নেতা নয়। কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সংসদে রূপচাঁদ পালের যে বক্তব্যগুলি রয়েছে সেগুলি পড়লে অনেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন। রাজনৈতিক কর্মী, অসংখ্য ছাত্র তৈরি করেছেন তিনি। বয়স হলে সকলকেই চলে যেতে হয়। কিন্তু কিছু মানুষ তাঁর অভাব বোধ করবেন। তাঁর কাজকর্ম রয়ে যাবে।’

    উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ গ্রহণ করেন রূপচাঁদবাবু। পরে সিপিআইএম-এর জেলা কমিটির সদস্য হন। এর পাশাপাশি জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন তিনি। সিটু সংগঠনের জেলা-সহ সভাপতির দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজে যুক্ত ছিলেন।