|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: কথায় বলে বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ৷ এরমধ্যে মনসা পূজা, বিশ্বকর্মা পূজা এবং দুর্গাপূজা অন্যতম৷ এখন থেকেই পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে পুজোর প্রস্তুতি৷ সামনেই মা মনসা পূজা৷ তারপর বিশ্বকর্মা৷ এরপর শুরু দুর্গা পূজার কাউডাউন৷ উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গার কুমোরপাড়ায় মৃৎশিল্পীরা পুরোদমে ব্যস্ত প্রতিমা তৈরীর কাজে৷ একদিকে মা মনসা পূজা, বিশ্বকর্মা পূজা, অন্যদিকে দূর্গাপূজা৷ প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৭ তারিখে মনসা পূজা তার আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমোর পাড়ার মৃৎশিল্পীরা রাতদিন এক করে ঘেমে নিয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত।
এখন শুধুই ব্যস্ততা কুমোরটুলিতে। জোর কদমে চলছে তারই প্রস্তুতি। যার দরুন সম্পূর্ন ভাবে প্রতিমা তৈরীর কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা৷ গত দুবছর আগে করোনার অতিমারির দরুন পূজা পার্বন অনেক কম হওয়ার কারনে মৃৎশিল্পীদের প্রতিমার ব্যবসা হয়নি। ওই সময় তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে৷ সেই ক্ষতি তুলে আনার জন্য এবার মৃৎশিল্পীরা অন্যান্য বছর তুলনায় বেশি প্রতিমা তৈরীর কাজে হাত দেন৷ এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের মৃৎশিল্পী ভুবন শীল জানান, “এবার মা মনষার প্রতিমা তৈরী করেছি ৪০টি, বিশ্বকর্মা ৩২টি ও দূর্গা প্রতিমা তৈরী চলছে প্রায় ১২টির মতন৷ এখনও পর্যন্ত দূর্গা প্রতিমা ৭টি ক্লাব বায়না করেছে”৷ বাকি প্রতিমা গুলি বায়না হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। মনসা প্রতিমা, বিশ্বকর্মা প্রতিমা ও দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজে উনার ৬ জন কর্মচারী সকাল বিকাল কাজে লিপ্ত৷ এবিষয়ে মৃৎশিল্পী ভুবন শীল আরও জানান, “তিনি বলেন, এবছর পূজার সংখ্যা বাড়বে বলেই তাদের ধারণা৷ সেই প্রত্যাশা নিয়েই অন্যান্য প্রচারের তুলনায় এবছর মূর্তি তৈরীর কাজ চলেছে দ্রুতগতিতে৷ শ্রাবণ মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রাম শহর বাঙালির ঘরে ঘরে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে মনসামঙ্গল পুথি পড়ার ধুম৷ সারা মাসব্যাপী চলে এই পুথি পড়ার প্রক্রিয়া৷ চলতি মাসের ১৭ তারিখে দেবী মনসার পূজা সম্পূর্ণ করার মধ্য দিয়েই শেষ হবে এই পুথি পড়ার কাজ৷ তবে বলাই বাহুল্য, মনসা পূজার আগে মনসা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গার মৃৎশিল্পীরা,প্রতিমা তৈরীর ব্যস্ততা চলছে জোর কদমে কুমোরটুলিতে।