|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক: শিলিগুড়িতে মুখ থুবড়ে পড়েছে বেকারি শিল্প। এই শিল্পের সাথে কাজ করেন শিলিগুড়ির অন্তত তিরিশ হাজার যুবক।লকডাউনের পরে যার অবস্থা প্রচণ্ড শোচনীয়। উত্তরবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্প হল শিলিগুড়ির বেকারি শিল্প।এই বেকারির বিষ্কুট শিলিগুড়ির প্রায় প্রত্যেকটি জেলাতে পৌছায়।বর্তমানে শিলিগুড়িতে প্রায় একহাজার বেকারি আছে যার মধ্যে অর্ধেকের বেশিই বন্ধ হবার পথে।এর প্রধান কারন হিসেবে বেকারির মালিকেরা জানিয়েছেন বেকারিতে কাজ করতে গেলে দক্ষ কারিগরের প্রয়োজন হয়,যার অভাব এখন সবচাইতে বেশী।যারা কাজ করতে আসেন তাদের চাহিদা এতটাই যে বেকারির মালিক পোষাতেই পারেন না।একেকজনের মায়না প্রায় পনেরো হাজারের উপরে।একটি ভালো এবং বড় বেকারিতে কাজ করতে 5জন কর্মী লাগে যার মায়না এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে চলে যায় এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি।এত টাকা দিয়ে বেকারি চালানো কোনমতেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বেকারি মালিকেরা।এর পরে বিষ্কুট তৈরী করতে যে সব জিনিসের দরকার হয় তার দামও বেড়েছে প্রচণ্ডভাবে,তাই ঠিকমতো না কিনতে পারায় বিষ্কুট তৈরী হচ্ছে না,ফলে ব্যাবসা মুখ থুবড়ে পড়ছে।এর উপরে বাজারে নানান ধরনের বিষ্কুট বেরিয়ে যাওয়ায় বিক্রি সেরকম নেই বলে জানিয়েছেন বেকারির ব্যাবসায়ীরা।তারা আরো জানিয়েছেন বেকারির বিষ্কুট মুলত পাওয়া যায় চায়ের দোকানে আর চায়ের দোকানে সব ধরনের মানুষ আসেন না,আগে এত ধরনের খাবার না থাকায় বেকারির বিষ্কুটের একটা বাজার ছিল বতর্মানে তা নেই।সব মিলিয়ে সঙ্কটে উত্তরবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্প বেকারি শিল্প।আর কর্মহীন হয়ে যাবার আশঙ্কা প্রায় কুড়ি হাজার শ্রমিকের।