বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট চত্বরকে বিজ্ঞাপন মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক:- মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে। বিজ্ঞাপনে ঢেকে যায় আকাশ। রাস্তার ওপর অনেক বিজ্ঞাপন চোখ টানে। আবার অনেক বিজ্ঞাপন দৃশ্য দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই রাস্তার ধারে বিজ্ঞাপন থাকা উচিত না অনুচিত, তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। পক্ষে-বিপক্ষে মতামত রয়েছে অনেক। এই পরিস্থিতিতে বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট চত্বরকে বিজ্ঞাপন মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা নিয়েছে বর্ধমান পুরসভা। চূড়ান্ত ঘোষনা হওয়ার আগে সবদিক খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করল পুরসভা কর্তৃপক্ষ।বর্ধমান পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র কার্জনগেট চত্বর এলাকাকে বিজ্ঞাপন ফ্রি জোন তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। রাজ ঐতিহ্যবাহী কার্জনগেটের একশো মিটার বৃত্তের মধ্যে কোনও বিজ্ঞাপন থাকবে না। এই আয়তন জায়গার মধ্যে কতগুলি বিজ্ঞাপন রয়েছে, সে-সব তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিয়েছেন পুর-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার পুরসভার কর্মী আধিকারিকরা এ’ব্যাপারে ফিতে নিয়ে মাপজোকও করেন। এই এলাকার মধ্যে কোনও ব্যানার, পোস্টার, ফ্লেক্স লাগানো যাবে না বলে ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভার।তবে পুরসভার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষন করছেন বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে যুক্তরা। তাঁরা বলছেন, দেশ বিদেশের বেশিরভাগ বড় শহরের জন বহুল এলাকাতেই বিজ্ঞাপন থাকে। যেখানে যত বেশি মানুষের আনাগোনা সেখানে বিজ্ঞাপনের দর তত বেশি। তা থেকে মোটা টাকা আয়ও হয় পুরসভা প্রশাসনের। দৃশ্য দূষণ কখনই কাম্য নয়। তাই বেআইনি হোর্ডিং সরিয়ে দিক প্রশাসন। কিন্তু যাঁরা নিয়ম মেনে, পুরসভাকে রাজস্ব দিয়ে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তাদের সে কাজ করতে দেওয়া হোক।বর্ধমানের কার্জনগেট চত্ত্বর প্রবাহমান রাজনীতির উত্থান পতনের সাক্ষী। এই চত্ত্বর এক সময় লাল ঝান্ডায় মোড়া থেকেছে। সেই লাল ফিকে হয়ে উড়েছে গেরুয়া পতাকা। গেরুয়া ঢাকা পড়েছে সবুজ পতাকায়। বাসিন্দাদের প্রশ্ন, রাজনীতির এই বিজ্ঞাপন ধারাবাহিকভাবে সরিয়ে রাখতে পারবে পৌর প্রশাসন? এক সময়, কার্জনগেট চত্ত্বরে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ ফ্রি জোন করার কথাও ভেবেছিল প্রশাসন। তা অবশ্য এখনও বাস্তবায়িত করা যায়নি।